• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
নেপথ্যে সরকারী ডাক্তারের ক্লিনিক ব্যবসা!

ঝালকাঠিতে চিকিৎসককে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩, ০৩:৪৯ এএম

ঝালকাঠিতে চিকিৎসককে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ

ছবিঃ সিটি নিউজ ঢাকা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরে দুই ক্লিনিকেচেম্বার করা নিয়ে বিরোধের জের ধরে অর্থোপেডিক্স ও ট্রমা সার্জন ডা. এমএ করিম মামুন নামে এক চিকিৎসককে হাতুড়ি পেটার অভিযোগ উঠেছে। 

বুধবার (১ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজাপুরের নৈকাঠি ব্রিজ এলাকায় তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হাতুড়ি পেটা করে বলে অভিযোগে জানাগেছে। বর্তমানে ডা. করিম মামুন রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। 

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ঝালকাঠিতে গুরুত্বপূর্ন পদে কর্মরত কতিপয় সরকারী ডাক্তাররা রাজাপুর সদরে একাধিক ক্লিনিক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় দীর্গ দিন ধরে
ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে আসছে।


আহত ডা. করিম জানান, তিনি রাজাপুর এ্যাপোলো ক্লিনিকে কয়েক বছর ধরে জড়িত থেকে রোগী দেখে আসছি। সম্প্রতি ডক্টরস ক্লিনিকে চেম্বার করার কথা চলছিল। 

বুধবার সকালে এ্যাপোলো ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনার জন্য যাওয়ার পথে নৈকাঠি ব্রিজ এলাকায় এ্যাপোলো ক্লিনিকের স্টাফ চাঁন আরেকজন সহযোগী নিয়ে আমার মোটরসাইকেল পথরোধ করে। চান আমাকে জিজ্ঞাস করে আপনি (ঝালকাঠির বর্তমান সিভিল সার্জন) ডাঃ জহির স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছ কেন? আমি কথার উত্তর দিতেই সে হাতুড়ি বের করে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।


এবিষয়ে এ্যাপোলো ক্লিনিকের মালিক নাসির উদ্দিন জানায়, ডাঃ মামুনের সাথে চাদের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল কিন্তু কি কারনে তাদের মধ্যে এঘটনা ঘটেছে বলতে পারবোনা। কারন আজ সকাল থেকে চাঁদ ক্লিনিকে না আসেনি ও তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। তবে গতকাল মঙ্গল বার হঠাৎ করে আমাদের ক্লিনিকে কর্মরত ডাঃ মামুন ডক্টরস ক্লিনিকে রোগী দেখবেন বলে মাইকে প্রচার শুরু হয়।
মাইকিং শুনে আমি ডাঃ মামুনকে ফোনে দিয়ে কারন জানতে চাইলে তিনি ঝালকাঠির বর্তমান সিভিল সার্জন ডাঃ জহির স্যারের নির্দেশে নতুন স্থানে রোগী দেখার কথা জানায়। তবে ডাঃ মামুনের সাথে তাদের সু’সম্পর্ক রয়েছে আর তাদের এ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সও সিভিল সার্জন ডাঃ জহিরের পিতার নামে নেয়া এবং ডক্টরস ক্লিনিকের মালিকানার সাথে তিনি যুক্ত রয়েছেন বলে শুনেছেন বলে জানান।
রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পরির্দশন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ