• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এএসআইকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম

এএসআইকে ধর্ষণের অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পরে মামলাটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) সাত দিনের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় বরগুনার তালতলী থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রায়হান তালুকদারকে। তার বাড়ি বরিশাল জেলার কোতোয়ালি থানার বামনকাঠি গ্রামে‌।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সহকারী উপ-পরিদর্শক রায়হান তালুকদার ও মামলার বাদী একই সময়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগে এএসআই রায়হান বিয়ের আশ্বাসে বাদীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। রায়হান গোপনে তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে নগদ সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া বিয়ের কথা বললে নানা টালবাহানায় বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান রায়হান।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার স্বামীও পুলিশ সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। এরপর দুই সন্তান নিয়ে আমার জীবনযুদ্ধ শুরু হয়। পরে একই জায়গায় কর্মরত থাকাকালীন রায়হানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সবকিছু জেনেশুনে রায়হান বিয়ের আশ্বাসে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিন্তু এখন সে বিয়ে করবে না বলে জানিয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি বরগুনা সদর থানায় রায়হানের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রায়হান তালুকদার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ মামলার বাদী আমার চেয়ে বয়সে ও সার্ভিসে বড়। এ ছাড়াও আমার স্ত্রী-সন্তান আছে। তিনি আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজি না হওয়ায় হয়রানি করতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।’


এ বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনায় বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা গ্রহণ করা হতো।’

 

 

এনএমএম/এএল

আর্কাইভ