প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ১০:০০ পিএম
গর্ভাবস্থার সময়টা যেকোনো নারীর জন্য অনেক বেশি
আনন্দের। সেই সঙ্গে এই
৯ মাসের যাত্রা নানা ধরনের অভিজ্ঞতায়
পূর্ণ থাকে। বমি বমি ভাব,
জয়েন্টে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং আরও অনেক
লক্ষণ ছাড়াও গর্ভাবস্থায় অদ্ভুত ও অস্বস্তিকর স্বপ্ন
দেখা দিতে পারে।
অনেক
নারী এমন স্বপ্ন দেখেছেন
যেগুলো খুব গ্রাফিক, জীবনের
মতো এবং রঙিন, এমন
কিছু যা তারা আগে
কখনও অনুভব করেনি। কেন এটি ঘটে
তা অনেক কারণে হতে
পারে। গর্ভাবস্থায় অদ্ভুত সব স্বপ্নের কারণ
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অদ্ভুত
স্বপ্ন দেখার কারণ : স্বপ্ন আমাদের মনস্তাত্ত্বিক সত্তার একটি অংশ। এটি
গোপন চিন্তা, আমাদের গভীর আনন্দ, ভয়
ও আমাদের অভিজ্ঞতার প্রতিফলনের সংমিশ্রণ। কিন্তু কেন গর্ভবতী নারীরা
অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে থাকেন তার
নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। ন্যাশনাল স্লিপ কাউন্সিলের মতে, গর্ভবতী নারীদের
অদ্ভুত স্বপ্নের পেছনে হরমোনের ওঠানামা একমাত্র কারণ হতে পারে।
এটি
ঘুমের ধরন পরিবর্তনের কারণেও
হতে পারে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে
গর্ভাবস্থায় অস্থিরতার কারণেও এটি ঘটে থাকতে
পারে। গর্ভবতী নারীদের ঘুম থেকে বারবার
উঠতে হয়, পজিশন বদলাতে
হয় বা ওয়াশরুমে যেতে
হয়। যে কারণে তারা
যে স্বপ্নগুলো দেখে সেগুলো মনে
রাখার সম্ভাবনা আরও বেশি থাকে,
কারণ তারা আরও সচেতন
এবং বলতে গেলে জাগ্রত
থাকে।
স্বপ্নের
মানে কী : গর্ভাবস্থায় দেখা
স্বপ্ন সম্ভবত হবু মায়ের চিন্তা,
ধারণা, আশা এবং ভয়ের
অভিক্ষেপ হতে পারে। যদিও
তারা যে ধরনের স্বপ্ন
দেখে সেসবের সঙ্গে অনাগত সন্তানের কোনো সম্পর্ক নেই।
এটি নিশ্চিতভাবে হবু মায়ের আকাঙ্ক্ষা,
একটি পরিবার এবং অনাগত শিশুর
সঙ্গে বন্ধনের প্রকাশ করে।
গর্ভাবস্থায়,
নারীরা প্রায়শই স্বপ্ন দেখে থাকেন যেখানে
তাদের স্বামীর অন্য নারীদের সাথে
সম্পর্ক থাকে, এটি কেবল এই
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভালোবাসা এবং আস্থা হারানোর
ভয় থেকে হতে পারে।
যা হোক, এটি কোনোভাবেই
সত্য বলে বিশ্বাস করার
কোনো কারণ নেই। আপনার
দেখা প্রতিটি স্বপ্ন আপনি যা ভাবছেন
এবং আশা করেন তার
প্রতিফলন।
কীভাবে
প্রতিরোধ করবেন : ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন অনুসারে, গর্ভবতী নারীদের আরও ভালো ঘুমের
জন্য কিছু উপায় রয়েছে,
যা অদ্ভুত স্বপ্নগুলো কমিয়ে আনতে পারে। চলুন
জেনে নেওয়া যাক-
সারাদিন
হাইড্রেটেড থাকুন এবং ঘুমাতে যাওয়ার
আগে অতিরিক্ত পানি পান করা
থেকে বিরত থাকুন।
মশলাদার
এবং অম্লীয় খাবার খাবেন না। রাতের বেলা
ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না।
বডি
মুভমেন্ট বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ
বৃদ্ধি করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নানা ধরনের
ব্যায়ামও করতে পারেন। এতে
রাতে ভালো ঘুম হবে।
ঘুমের
জন্য আরামদায়ক পজিশন খুঁজে বের করুন।
তারিক/এম. জামান