
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৩:২৪ এএম
ভিয়েনায় স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের পারমাণবিক আলোচনার অষ্টম রাউন্ড শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন একটি যৌথ নথির ভিত্তিতে এই আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। এই নথিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তাসহ ইরানের মূলগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, 'একটি গ্রহণযোগ্য যৌথ বক্তব্যে একমত হওয়া
গেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা ও পারমাণবিক ইস্যুতে কথা বলা।'
অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ধাপের আলোচনার একটি খসড়ার প্রতি ইঙ্গিত
করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের জুন মাসের নথিটি সরিয়ে রাখতে
এবং নতুন একটি যৌথ নথিতে সম্মত হয়েছি। আর ওই নথি ঘিরে আজ (সোমবার) আলোচনা শুরু
হবে।’
দশ দিনের বিরতির পর সোমবার শুরু হচ্ছে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত জয়েন্ট
কম্প্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জিসেপিওএ) ফের সক্রিয় করার আলোচনা।
আমিরাব্দুল্লাহিয়ান জানান, ইরানের মূল দাবি
হচ্ছে ২০১৮ সালের মতো যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে চুক্তি ছেড়ে যেতে পারবে না- এমন
নিশ্চয়তা। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কার্যকারিতা যাচাইয়ের মেয়াদ নিয়েও আলোচনা
হবে।
আমিরাব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘আমাদের কাছে
গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, এসব শর্ত এবং ইস্যুর
মাধমে আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব যেখানে ইরান সহজেই, কোনো বাধা ছাড়াই নিজেদের তেল বিক্রি করতে পারবে
এবং তেলের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় ইরানি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে আর আমরা এসব
অর্থ বিভিন্ন খাতে অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে পারব।’
জেসিপিওএ এর আওতায় ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞায়
ছাড় পায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের প্রত্যাহার করে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করলে ইরান
ওইসব সীমিত করা কর্মসূচি ফের শুরু করে। বর্তমানে ৬০ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ
করতে অত্যাধুনিক সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করছে তেহরান।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুটনিকের বরাত দিয়ে শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক
সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি বলেন, 'ভিয়েনার আলোচনা ব্যর্থ হলেও তার দেশ সমৃদ্ধ
করার সীমা আর বাড়াবে না।'
পারমাণবিক বোমার জন্য ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন পড়ে। পারমাণবিক চুক্তির পশ্চিমা দেশগুলো এই সমৃদ্ধকরণ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে তারা পারমাণবিক কর্মসূচিতে কখনই অস্ত্র যুক্ত করতে চাইবে না।
অর্ণব/এম. জামান