• ঢাকা বুধবার
    ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গাজায় কি পানি আছে?

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৩:৪১ পিএম

গাজায় কি পানি আছে?

ছবি: সংগ্রহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরুর একদিন পর গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। ফলে সেখানে বিদ্যুৎ, পানি, খাবার ও ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অন্ধকারে ডুবে যাওয়া পুরো উপত্যকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে লাখ লাখ মানুষ। গতকাল রোববার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে পানির লাইন পুনরায় সচল করে দেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করলেও সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা এখনও পানি পাননি।

সোমবার সকালের দিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মকর্তা জেসন লি পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে জানান, গাজায় পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের কাছে দক্ষিণ গাজার কিছু অংশে আবারও পানির সরবরাহ সচল করে দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য এসেছে। কিন্তু পানি পাম্প করার জন্য জ্বালানি বা বিদ্যুতের দরকার হলেও এখানে তা নেই। যে কারণে সাধারণ জনগণের কাছে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সোমবার বিবিসিকে বলেছে, রাফাহ সীমান্তে তাদের কার্যালয় থেকে ৬ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের মাঝে পানি বিতরণ করা হয়। এখন জনপ্রতি মাত্র এক লিটার পানি দেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ মানুষের প্রায় এক চতুর্থাংশই তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছেন। এসব মানুষের বেশিরভাগই রাফাহা সীমান্তে ইউএনআরডব্লিউএর স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন, যেখানে ‘বিশুদ্ধ পানি আসলে ফুরিয়ে গেছে।’

এর আগে, রোববার জাতিসংঘের মানবিকতাবিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) জানায়, ইসরায়েল পূর্ব খান ইউনিস এলাকায় পুনরায় আংশিক পানি সরবরাহ শুরু করেছে। কিন্তু এই সরবরাহের পরিমাণ এবং ফলাফল পরিষ্কার নয়।

ওসিএইচএ বলেছে, গাজার শেষ সচল সামুদ্রিক পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টটি রোববার বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু মানুষ কৃষি কূপ থেকে সংগ্রহ করা লোনা পানি পান করছে।

সংস্থাটি বলেছে, এই মুহূর্তে বিশুদ্ধ পানির প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছেন বেসরকারি বিক্রেতারা। এসব বিক্রেতাদের বেশিরভাগই সৌরশক্তি চালিত ছোট ছোট বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট পরিচালনা করেন।

গাজায় কর্মরত দোভাষী জেসন শাওয়া বলেন, তিনি পানির ট্যাঙ্কারগুলোর দিকে নজর রাখছিলেন। তিনি অর্থের বিনিময়ে এক ঘন মিটার আকারের একটি পাত্রে পানি নিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে এই পানি ব্যবহার করলে দুদিন চলা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ