 
              প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
 
                 
                            
              ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর।
দফতরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জিম্মিদের আটকে রাখার মাধ্যমে আশপাশের বেসামরিক নাগরিক ও জিম্মিদের ‘বাড়তি ঝুঁকিতে’ ফেলছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে লরেন্স বলেন, ‘উভয় পক্ষের এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।’
জিম্মিরা ও তাদের পরিবার যে ‘অগ্নিপরীক্ষার’ মুখোমুখি হয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরে লরেন্স বলেন, চারজন জিম্মি এখন মুক্ত, এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো খবর। এই জিম্মিদের কখনই ব্যবহার করা উচিত ছিল না, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। যত শিগগিরই সম্ভব হয় তাদের মুক্তি দিতে হবে।
গত শনিবারের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে চালানো অভিযানে ইসরাইলি বাহিনীর সম্ভাব্য নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দফতরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স। অভিযানে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৭৪ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
লরেন্স বলেন, ‘এটি ছিল বিপর্যয়কর, যেভাবে আকস্মিক ও তীব্র সহিংস অবস্থার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরা আটকা পড়ে গেছে।’
ইসরাইলি সামরিক অভিযান এবং ৭ অক্টোবর থেকে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের কথা উল্লেখ করে লরেন্স এ কথা বলেন।
৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণে প্রায় এক ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এ সময় প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাস। এরপর ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৬ হাজার ৭৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      