
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ উত্তেজনার টানা ১৩ দিন পর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন ভারতের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
বললেন, জম্মু-কাশ্মীরে হামলার খবর আগেই জানতেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন খাড়গে।
কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, ‘তিন দিন আগেই গোয়েন্দারা প্রধানমন্ত্রীকে হামলার খবর দিয়েছিলেন। সেই মতো নিজের সফরও বাতিল করেছিলেন তিনি। কিন্তু হামলা রুখতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্র।’ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসের।
খাড়গে এদিন আরও বলেন, ‘আমার কাছে খবর আছে, মোদির সেসময় কাশ্মীর সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই খবর পাওয়ার পরই তিনি সফর বাতিল করেন। সংবাদমাধ্যম থেকেই বিষয়টা জানতে পেরেছি।’
তার দাবি, ‘গোয়েন্দারা সতর্ক করেছিল, কিন্তু সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটা কেন্দ্রের ব্যর্থতা। ওরা এখন বলছে এসব ঠিক করব। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো, সব জানার পরেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি কেন?’
এদিকে ১৯৭১ সালের পর আবারও ভারতজুড়ে শুরু হলো এক বিশাল যুদ্ধের মহড়া। রাজ্যে রাজ্যে, শহর থেকে গ্রামে আজ থেকে একযোগে চলবে এ মহড়া। শেষ হবে ৯ মে। এতে অংশ নেবে চার লাখেরও বেশি সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক। যাদের বেশির ভাগই হোম মিনিস্ট্রির অধীনে সিভিল ডিফেন্স ডিরেক্টরেটের সঙ্গে যুক্ত।
সোমবার সব রাজ্যকে এই ‘মক ড্রিল’র নির্দেশ দেয় সরকার।
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলার জেরে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ভারত ও পাকিস্তানে। মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার টানা দ্বাদশ রাতেও দুই দেশের সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)।
এদিন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুদ্ধাবস্থা নিরসনের আলোচনা হয়। এতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করা হলেও, বাস্তবে তা হয়নি। উলটো দ্বিপক্ষীয় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। দেখা দিয়েছে যুদ্ধের আশঙ্কাও।
এদিকে ভারতের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার। সোমবার তিনি বলেছেন, ভারতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে। কাশ্মীর সমস্যা সমাধান ছাড়া আঞ্চলিক শান্তি সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে ভারত যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর হামলা চালাতে পারে বলে সোমবার সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
তিনি বলেছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলার পর পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক ও নিরাপত্তা উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। তবে ভারত পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করলে পূর্ণ শক্তিতে তার জবাব দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির।