
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
মিয়ানমার থেকে আসা ৪০ রোহিঙ্গাকে সাগরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিরুদ্ধে। ভয়ংকর এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে, ভারত সরকার সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে দিল্লিতে বসবাসকারী কয়েক ডজন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করা হয়। এদেরমধ্যে প্রায় ৪০ জন শরণার্থীকে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।
ফেলে দেওয়ার আগে তাদেরকে চোখ বেঁধে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজে তোলা হয়। এরপর জাহাজটি আন্দামান সাগর পার হলে শরণার্থীদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং মিয়ানমারে সীমানার অভ্যন্তরে একটি দ্বীপে সাঁতার কেটে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শরণার্থীরা সম্ভবত সাঁতর কেটে দ্বীপে পৌঁছেছেন, তাদের তাদের বর্তমান অবস্থা এবং তারা কোথায় আছেন তা জানা যায়নি।
শুধু তাই নয়, ভারতের আসাম রাজ্যের একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে প্রায় ১০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জোর করে প্রত্যর্পণের যেকোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছন জাতিসংঘ।
এই ঘটনা তদন্তে একজন বিশেষজ্ঞ নিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ। পাশাপাশি ভারত সরকারকে সতর্ক করেছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো শরণার্থীর সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ না করা হয়।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের আইনের ২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালতে পেশ করা হয়নি, যা ভারতের সংবিধান লঙ্ঘন করে।