• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

গাজায় তাণ্ডব চলছেই, আরও ৯৫ জনকে হত্যা করল ইহুদিবাদীরা

প্রকাশিত: জুলাই ১, ২০২৫, ০৯:২০ এএম

গাজায় তাণ্ডব চলছেই, আরও ৯৫ জনকে হত্যা করল ইহুদিবাদীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাসকে উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছেই। ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় প্রতিদিনই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাটির বিভিন্ন স্থানে ইহুদিবাদীরা একের পর এক হামলায় আরও অন্তত ৯৫ ফিলিস্তিনকে হত্যা করেছে। এরমধ্যে শুধু আল-বাকা নামে এক সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেতেই নিহত হন ৩৯ জন। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে আরও জানায়, আল-বাকা নামে উত্তর গাজার ওই সমুদ্র তীরবর্তী ক্যাফেটিতে একটি জন্মদিন উদযাপন করতে নারী ও শিশুসহ অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন। কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়াই সেখানে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

এদিকে গাজা শহরের ইয়াফা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েকশ বাস্তুচ্যুত মানুষের ওপরও হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। হামাদা আবু জারাদে নামের একজন জানান, তারা হামলার মাত্র পাঁচ মিনিট আগে সরে যাওয়ার নোটিশ পান।

এ ছাড়া মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল চত্বরে চালানো হামলা চলায় ইহুদিবাদীরা। সেখানে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল। এই হাসপাতালে এর আগেও অন্তত ১০ বার হামলা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ত্রাণের আশায় দাঁড়ানো মানুষকে লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসে বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)’-এর ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে খাবারের জন্য অপেক্ষারত মানুষের ওপর চালানো হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন এবং ৫০ জন আহত হন।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় যে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, তা এখনও থামেনি। আন্তর্জাতিক মহলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করেই তারা এই হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত প্রায় ২০ মাসে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আর্কাইভ