 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
 
                 
                            
              গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন (জেনোসাইড) চালাচ্ছে ইসরাইল। জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তদন্ত শেষে প্রথমবারের মতো বিশ্ব সংস্থার পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ইসরাইলের শীর্ষ নেতারা এই জাতিগত নিধন উসকে দিয়েছেন বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৭২ পাতার এই তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে। এই তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রামাণ্য ফলাফল’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ‘চারটি জাতিগত নিধন কর্মকাণ্ড’ পরিচালনা করেছে বলে তাদের তদন্তে উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরাইলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা করে। আরও আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার ও নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরাইল, যা এখনও চলছে।
দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের অনুসন্ধান কমিশনের প্রধান এবং সাবেক আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের বিচারক নাভি পিল্লে বলেন, ‘গাজায় জাতিগন নিধন চলছে। ‘
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের দায়ভার ইসরাইলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর রয়েছে, যারা প্রায় দুই বছর ধরে একটি গণহত্যামূলক অভিযান পরিচালনা করছেন, যার বিশেষ উদ্দেশ্য হলো গাজার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করা।’
এদিকে জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল মেরন প্রতিবেদনটিকে ‘স্ক্যান্ডালাস’ এবং ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন এটি ‘হামাসের প্রতিনিধি(প্রক্সি)’র রচিত।
মেরন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসরাইল পুরোপুরি এই অনুসন্ধান কমিশনের প্রকাশিত মানহানিকর উগ্র মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে।’
সূত্র: রয়টার্স
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      