• ঢাকা সোমবার
    ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানে ভ্রমণের সময় মোবাইল ফোন ফ্লাইট মোড করতে হয় কেন? কারন জানলে চমকে যাবেন

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩, ০৩:০১ এএম

বিমানে ভ্রমণের সময় মোবাইল ফোন ফ্লাইট মোড করতে হয় কেন? কারন জানলে চমকে যাবেন

ছবি: সংগৃহীত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

বিমানে ভ্রমণ করার সময় ফ্লাইটটি টেক অফ করতে যাওয়ার সাথে সাথে সমস্ত যাত্রীদের বলা হয়, তাদের স্মার্টফোন ফ্লাইট মোড বা এরোপ্লেন মোডে রাখতে। এর জন্য প্রতিটি স্মার্টফোনে ফ্লাইট মোড দেওয়া হয়। এর ফলে কাউকে কল, বার্তা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না।  

কিন্তু কখনো ভেবেছেন যে বিমানে মোবাইল কেন ফ্লাইট মোডে রাখতে হয়? এর অন্যতম কারণ হলো সিগন্যালের সমস্যা এড়ানো। ফোনের সিগন্যাল চালু রাখলে পাইলটের রেডিও সিগন্যাল আদান-প্রদানে বিঘ্ন ঘটতে পারে। কেননা, বিমানের পাইলট যোগাযোগের জন্য রেডিও সিগন্যালের ওপর নির্ভরশীল।

মোবাইল ফোনের সিগন্যাল চালু রাখলে এয়ার ট্রাফিক এবং আকাশে উড়তে থাকা অন্যান্য পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটে। হয়তো মোবাইল ফোনের জিএসএম সিগন্যাল জটে পড়তে পারে রেডিও সিগন্যাল। মূলত সিগন্যালের সমস্যা এড়ানোর জন্যই যাত্রীদের মোবাইল ফোন ফ্লাইট মোডে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আপনি এ বিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব নাও দিতে পারেন কিন্তু আপনি যদি স্মার্টফোনটি ফ্লাইট মোডে না রাখেন তবে বিমানের নেভিগিশনের সমস্যা হতে পারে এবং এটি খারাপভাবে প্রভাবিত হবে। বিষয়টি ছোটখাটো শোনালেও এমন নয়, এর কারণে বিমানটি খুবই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে।

আসলে, নেভিগেশনের কাজ হল বিমানকে পথ দেখানো। বিমানে যদি মোবাইল ফ্লাইট মোডে রাখা হয় তাহলে তার নেটওয়ার্ক দ্বারা বিমানের নেভিগিশন কোনওভাবেই প্রভাবিত হবে না। কিন্তু হঠাৎ করে যদি ফ্লাইট মোড অফ করা হয়, তাহলে বিমানটি তার পথ থেকে বিচ্যুতি হয়ে দূরে অন্য কোন স্থানে পৌঁছে বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ