
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২, ১১:০৪ এএম
বাংলাদেশ
থেকে আবারও কর্মী নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। কোরিয়ান এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে
৯২ জন বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে। এটি নতুন বছরে বাংলাদেশি প্রবাসী
শ্রমিকদের কোরিয়ায় যাওয়া প্রথম ব্যাচ।
বুধবার
(৫ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রবাসী
শ্রমিকদের বহনকারী ফ্লাইটটি কোরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। ঢাকাস্থ দক্ষিণ কোরীয়
দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
দূতাবাস জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি
কর্মী গ্রহণ স্থগিত করে এবং ডিসেম্বর মাস থেকে আবার প্রবাসীদের গ্রহণ করা শুরু করে।
পুনরায় চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত মোট ২০৩ জন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী কোরিয়া গেছেন।
গত
ডিসেম্বরে কোরিয়ায় ১১১ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গেছে। এদের মধ্যে
৪৪ জন কর্মী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং বাকিরা পুনঃপ্রবেশ কর্মী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কোরিয়া এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও নিম্ন-দক্ষ বিদেশি কর্মী গ্রহণ করে আসছে। তবে মহামারির কারণে কোরিয়ান সরকার ইপিএস কর্মীদের গ্রহণ স্থগিত করেছিল।
এ
ছাড়াও প্রেরণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে ক্রমাগত অনুরোধগুলো মেনে
নিয়ে কোরিয়ান সরকার সীমিত সুযোগ এবং পর্যায়ক্রমে কোয়ারেন্টিনসহ করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থাসহ
গত বছরের নভেম্বর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ঢাকায়
নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন বলেন, ‘বাংলাদেশের ইপিএস কর্মীরা কোরিয়া-বাংলাদেশ
সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, যা শুধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন
নয়, কোরিয়ান শিল্পে শ্রমশক্তি সরবরাহে অবদান রেখেছে।’
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের কর্মী প্রাপ্তির পুনঃপ্রবর্তনকে স্বাগত জানান। কোরিয়া আগামী বছরগুলোতেও বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইপিএস কর্মীকে স্থান দিতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
ইপিএস পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিককে কোরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের রেমিট্যান্সের প্রবাহ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২০৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল যা কোরিয়াকে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্সের ত্রয়োদশ প্রধান উৎস হিসেবে গণ্য করছে।
কোরিয়া
১৭৭.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২তম স্থানে ছিল। কোরিয়া থেকে
রেমিট্যান্সের মাত্রা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত পেয়েছে যা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮০.৬৫
মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৯৬.২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৮-১৯
অর্থবছরে ১১২.৫১ মার্কিন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।
এএমকে