জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

জজ মিয়া (ফাইল ছবি)

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে ফাঁসানো জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরে কারাগারে থাকায় তার কী পরিমাণ আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেছেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিআইডি, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সাবেক স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন, সাবেক এসপি আব্দুর রশিদ, সাবেক এসপি মুন্সী আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১১ আগস্ট জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। লিগ্যাল নোটিশে বিবাদীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। তারা পদক্ষেপ না নেয়ায় আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন জজ মিয়াকে নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয়। সিআইডি তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে।

২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।

পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়াকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সে সময় তাকে বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল।

জেইউ

• বিষয়:
• হাইকোর্ট