• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দিতে রুল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ০৭:৫৬ পিএম

বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দিতে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে এক বছর অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রুলের লিখিত অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘বেসরকারি (এমপিও ভুক্ত) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা) কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীগণের বেতন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর আলোকে বেতন থেকে অবসরের জন্য ৬ শতাংশ কর্তন করা হতো। কর্তনকৃত অর্থ থেকে অবসরের পর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এককালীন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। তবে ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এস.আর.ও নম্বর ৮৪ এবং এস.আর.ও নম্বর ৮৯ জারি করে এর মাধ্যমে ওই কর্তকৃত ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করে যা ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে সমস্ত বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের পরিবর্তে বর্ধিত হারে ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ৪ শতাংশ বর্ধিত কর্তনের জন্য কোনো প্রাপ্য অতিরিক্ত সুবিধা অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে এই কর্তনকৃত ১০ শতাংশ অবসরের পর অনেক সময় অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীগণ তাদের জমাকৃত অবসর সুবিধা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ফলে বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।’

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তক করা হচ্ছে কিন্তু তাদের অবসরকালীন সুবিধা পূর্বের ৬ শতাংশ হারে পরিশোধ করা হচ্ছে। এটা বৈষম্যমূলক এবং অধিকারের চরম লঙ্ঘন। সারা দেশের প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারী এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।’

জেইউ/এএল

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ