• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নৌকায় ভোট দিলে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি, ইসিতে অভিযোগ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩, ০১:৩১ এএম

নৌকায় ভোট দিলে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি, ইসিতে অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগেই পটুয়াখালী-৪ নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের কর্মীরা নৌকার কর্মী সমর্থকদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

এছাড়া নৌকাপ্রেমী ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে মদ্যপ মাতাল অবস্থায় ‍‍`১৮ তারিখের পর নৌকার প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারবে না‍‍` বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবের সমর্থক একাধিক সন্ত্রাসী আসলাম, জিয়া বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কলাপাড়া উপজেলার শনিবাড়িয়া বাজারে প্রকাশ্যে এ হুমকি দেয় বলে উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে ইসিতে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের গডফাদার মো. মাহবুবুর রহমান একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে পোষ্য সন্ত্রাসীদের পেশী শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী মাঠ দখলে নিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। লালুয়া ও বালিয়াতলি ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা ভিপি জিয়া ও আসলাম বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর জিয়া, আসলাম মদ খেয়ে মাতাল হয়ে শনিবাড়িয়া বাজারের ভোটারদের ডেকে নৌকার পক্ষে ভোট দিলে খুন-জখমসহ হাত পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। এছাড়া সন্ত্রাসী ভিপি জিয়া তার ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারসহ নৌকা প্রার্থীকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

ভুক্তভোগী ভোটারদের অভিযোগ, ১৮ তারিখের পর নৌকা প্রার্থীর কোন নাম নিশানা থাকবে না বলে মাদকাসক্ত আসলাম, জিয়া আমাদের হুমকি দেয়। ভোটের দিন নৌকায় ভোট দিলে তারা হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

১১৪, পটুয়াখালী-৪ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‍‍`আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে নির্বাচনী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।‍‍`

 

জেকেএস/

আর্কাইভ