• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট ওআইসি রাশিয়া ফিলিস্তিন গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট ওআইসি রাশিয়া ফিলিস্তিন গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের ৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে একযোগে চলে ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচন দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন ও গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকরা। তারা বলেছেন, ভোটার এবং প্রার্থীর এজেন্টদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, আমরা সন্তুষ্ট।

রোববার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, পর্যবেক্ষক হিসেবে সহিংসতার কোনো চিহ্ন আমাদের চোখে পড়েনি। আমি অবাক হয়েছি, দোকানপাট বন্ধ কেন! সড়কে কোনো মানুষ দেখা যায়নি। শহর ছিল শান্ত।

আরব ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়ে ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধান বলেন, আমার দেশের পাশাপাশি আমি ওই সংগঠনেও (আরব ইলেকট্রোরাল ম্যানেজমেন্ট বডি) প্রতিবেদন জমা দেব। যে কারণে এই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা বিনিময়। আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং আমি ও বাংলাদেশে আমার সহকর্মীরা আজকে যা দেখলাম। এই সফরে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখলাম। এটা একটি পেশাগত সফর ছিল। নির্বাচনি পরিবেশ দেখে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ভালো নির্বাচনি প্রক্রিয়া দেখেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ মোহাম্মদ বন্দর বলেন, আমি এখনো জানি না কত শতাংশ ভোট পড়েছে। সকালে যখন আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন করি, তখন ভোটার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। মানুষ আশা করছিল, উপস্থিতি বাড়বে। যদি বাধ্যবাধকতা না থাকে, আপনি কেন্দ্রে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং কেউ আপনাকে ভোট দিতে বাধ্য করতে পারে না। ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের দেশে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারি না।

সাংবাদিকরা ওআইসির নির্বাচন ইউনিটের প্রধানের কাছে কেন্দ্রে কম ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫ বা ১৬ শতাংশ ভোট পড়লে সেটা নির্বাচন আয়োজকদের জন্য বার্তা। এর কারণ রাজনীতিকরা বিশ্লেষণ করবেন।

আর্কাইভ