
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয় এবং বাগেরহাটের আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটির প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া ৩৯টি আসনে ছোটখাটো সংশোধনী আনে নির্বাচন কমিশন।
ইসির প্রকাশিত ওই খসড়া তালিকার ওপর ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি আহ্বানও করা হয়। দাবি-আপত্তি এলে তা শুনানি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে সংস্থাটি।
নির্ধারিত ওই সময়ের মধ্যে মোট ৮৩টি আসনের বিপরীতে ১ হাজার ৭৬০টি আবেদন পড়েছে ইসিতে। সীমানার খসড়া তালিকা নিয়ে দাবি-আপত্তির শীর্ষ রয়েছে কুমিল্লা অঞ্চল। কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের বিপরীতে দাবি-আপত্তি নিয়ে আবেদন এসেছে ৬৮৩টি।
রোববার (১৭ আগস্ট) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার তৈরি করা এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খসড়া তালিকা থেকে মোট ৮৩টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে ওই আবেদনগুলো জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ৬৮৩টি। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে রংপুর অঞ্চলে সাতটি। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে একক আসন হিসেবে কুমিল্লা-১ আসনে, এই আসনটিতে মোট আবেদন পড়েছে ৩৬২টি। এছাড়া পিরোজপুর-১, পিরোজপুর-২ ও পিরোজপুর-৩ আসন থেকে আবেদন পড়েছে ২৮৭টি। সিরাজগঞ্জ ৫ ও সিরাজগঞ্জ ৬ আসন থেকে আবেদন পড়েছে ২২০টি। এদিকে ঢাকার মধ্যে ঢাকা-১ আসনে আবেদন পড়েছে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে। সেগুলো হলো- পঞ্চগড় ১ ও ২, রংপুর ৩, সিরাজগঞ্জ ১ ও ২, সাতক্ষীরা ৩ ও ৪, শরিয়তপুর ২ ও ৩, ঢাকা ২,৩,৭,১০,১৪ ও ১৯, গাজীপুর ১,২,৩,৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ ৩,৪ ও ৫, সিলেট ১ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩, কুমিল্লা ১,২,১০ ও ১১, নোয়াখালী ১,২,৪ ও ৫, চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।
আগে বাগেরহাট-১ মোল্লারহাট-ফকিরহাট-চিতালমারি, বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর এবং কচুয়া, বাগেরহাট-৩ রামপাল এবং মোংলা, বাগেরহাট-৪ মোড়েলগঞ্জ এবং সরণখোলা- এই চারটি আসন ছিল বাগেরহাটে।
খসড়ায় বাগেরহাট-১ আসনে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। বাগেরহাট সদর, কচুয়া, রামপাল নিয়ে বাগেরহাট-২ আসন এবং মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ আসন প্রস্তাব করা হয়েছে।
সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেছেন, ৬৪ জেলার গড় ভোটার নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০। এটা ধরে জেলায় একটি আসন বাড়ালে তা গাজীপুরে হবে।
তিনি বলেন, এ গড়ের কম বাগেরহাটে একটি কমালে সমতা চলে আসে। দুই জেলার আসনই অ্যাফেক্টেড হয়েছে। আর কোথাও ঝামেলা নেই। ৩৯টি আসনে অ্যাডজাস্টমেন্ট রয়েছে।