• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২

তারেক রহমানের সংবর্ধনাস্থল জনসমুদ্র

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

তারেক রহমানের সংবর্ধনাস্থল জনসমুদ্র

সিটি নিউজ ডেস্ক

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সংবর্ধনাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে ৩০০ ফিটের সংবর্ধনাস্থলসহ আশপাশের এলাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফুট) নির্মিত সংবর্ধনাস্থলকে কেন্দ্র করে দেখা গেছে মানুষের ঢল। দলে দলে সমর্থকরা আসছেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।

ফ্লাইওভার ও সড়কপথে জনস্রোত সভামঞ্চের দিকে যাচ্ছে।

এর আগে বুধবার রাত থেকেই রাজধানীর কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফুট এলাকায় নির্মিত সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।

জাতীয় ও দলীয় পতাকা, স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে চারপাশের পরিবেশ।

নেতাকর্মীরা জানান, তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতেই তারা ঢাকায় এসেছেন।

সকাল থেকেই যশোর, কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিচ্ছেন।

যশোর থেকে আসা সাঈদুজজামান সাগর বলেন, দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতা দেশে ফিরছেন, এ কারণেই এ বিপুল উপস্থিতি।

আরেক সমর্থক ইউসুফ জানান, একনজর তারেক রহমানকে দেখার জন্যই তারা আগেভাগে ঢাকায় এসেছেন এবং রাত কাটিয়েছেন খোলা আকাশের নিচে।

বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারেক রহমান সরাসরি ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে বিএনপির আয়োজিত গণসংবর্ধনায় যোগ দেবেন।

সেখানে তিনিই একমাত্র বক্তা থাকবেন। সংবর্ধনা শেষে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তার মা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে বিএনপি। কুড়িল মোড়সংলগ্ন সড়কের উত্তর পাশে দক্ষিণমুখী করে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের বিশাল মঞ্চ।

বিমানবন্দরে নামার পর ভিআইপি লাউঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের সংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন তিনি। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান-২ নম্বরে বাসভবনে চলে আসবেন।

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর আটক হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দি ছিলেন তারেক রহমান। মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান। সে বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আসার পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় তার। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা হয়নি আর। অবশেষে দীর্ঘ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরবেন তিনি।

আর্কাইভ