 
              প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম
 
                 
                            
              বিদেশে চিকিৎসা শেষে বেগম খালেদা জিয়া আবারও দলের হাল ধরবেন- এমন প্রত্যাশা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে যুক্তরাজ্যে নিতে এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন। জানা গেছে, কানাডা থেকে আসা একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ৮ নভেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়তে পারেন বেগম জিয়া।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারে যাওয়ার ৯ মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ১ মাস ২ দিন পর আবারও কারাগারে নেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনকে।
২ বছর ৩ মাসের কারাজীবনে বেগম খালেদা জিয়াকে কয়েক দফা বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়। পরের বছর ২৭ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সনের লিভারসিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে।
২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে ৭ বার অনুমতি চাওয়া হয়। প্রতিবারই আবেদন নাকচ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
গত ৬ আগস্ট মুক্তির পর উন্মুক্ত হয় বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার পথ। জানা গেছে, ৮ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। কানাডা থেকে আসা স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যাবেন তিনি। তার সঙ্গী হবেন মেডিকেল বোর্ডের ৭ চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যসহ ১৫ জনের একটি দল।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান ও পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন থাকার পর, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেয়া হবে বেগম খালেদা জিয়াকে। দলটির নেতাদের প্রত্যাশা চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে আবারও দলের হাল ধরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আরও সাত বছর আগে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করানো দরকার ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সে সুযোগ দেয়নি। যদি আগে চিকিৎসা করানো যেত তাহলে এতোদিন তিনি সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারতেন। আমরা আশা করতেছি, এবার সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে তিনি আবারও পুরোপুরিভাবে দলের হাল ধরবেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা করা হয়। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      