
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকবে, কিন্তু সেই ভিন্নমত নিরসনে আলোচনা হবে। তবে জাতীয় কোনো ইস্যুতে গণতন্ত্রের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যাতে মুখ দেখাদেখি বন্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে জাতীয় স্বার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।
আজ বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া দলটির বিজয় র্যালি–পূর্ব সমাবেশে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে রাজধানী ঢাকায় এ ‘বিজয় র্যালি’ করছে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, জাতীয় স্বার্থে সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। কারণ, আমি বিশ্বাস করি ধর্ম–দর্শন–মত যার যার, রাষ্ট্র আমাদের সবার।
তিনি আরও বলেন, জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিএনপি রাষ্ট্রে কী ধরনের সংস্কার ও রাজনীতি পরিচালনা করবে, দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ৩১ দফার মাধ্যমে একটি রূপরেখা জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা চায়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে যেই রাজনৈতিক দলেরই সদস্য হন না কেন, মনে রাখা দরকার, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে আমরা কেউই নিরাপদ ছিলাম না। আমাদের সন্তানেরা কেউ নিরাপদ থাকতে পারেনি। আমাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণের জন্য সারা দেশকে বর্বর বন্দিখানা আয়নাঘর বানিয়ে ফেলা হয়েছিল।
দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকার গুরুত্ব তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, দেশে যদি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকে, তাহলে নারী কিংবা পুরুষ, সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু আমরা কেউই নিরাপদ নই। একমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে হাজারও শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক–রাজনৈতিক অধিকারের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও চর্চা করতে হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র ও নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করায় অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানান তারেক রহমান।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও সালাহউদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সমাবেশ শেষ হওয়ার পর শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের জেলার বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।