 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৪:১৩ এএম
 
                 
                            
              আজ সাকিব আল হাসান এবং ইফতিখার আহমেদ দুইজনই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজেদের সেরা ইনিংস খেলেছেন রংপুরের বিপক্ষে। এরমধ্যে ইফতিখার তো নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতকই তুলে নেয়। অন্য প্রান্তে সাকিবও অবশ্য ছিলেন সেঞ্চুরির দোরগড়ায়। সাকিব শতক না পেলেও ইফতিখারকে নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেট জুটিতে রানের রেকর্ড গড়েছেন।
এদিকে নিজেদের সেরা ইনিংস খেলার রেকর্ডের দিনে ফরচুন বরিশালকেও এনে দিলেন বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রানের ইনিংস। আর তাতে চিড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার দশা রংপুর রাইডার্সের। সাকিব এবং ইফতিখারের রাতে বরিশাল দাঁড় করিয়েছে ৪ উইকেটে ২৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। রংপুরকে ম্যাচ জিততে হলে রীতিমতো বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের চূড়ায় উঠতে হবে।
সাগরিকায় এদিন জয়ের লক্ষ্যে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুরের অধিনায়ক শোয়েব মালিক। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন রংপুরের বোলাররাও। পাওয়ারপ্লেতে বরিশালের ৪ উইকেট তুলে নেয় রংপুরের বোলাররা। উইকেট হারালেও ম্যাচে বরিশাল নিজেদের আক্রমণাত্মক মানসিকতা থেকে এক চুলও সরেনি। পুরো বিপিএলে নিজেদের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার ধরণ এদিনও বজায় রাখে দলটি। যার ফলে প্রথম ৬ ওভারে ৪৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়েও শেষ ১৪ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ১৯২ রান তোলেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
যা ৫ম উইকেট জুটিতে বিশ্ব রেকর্ড। এর আগে ৫ম উইকেট জুটিতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল হোস-মোসলের ১৭১ রান। এছাড়াও সাকিব-ইফতিখারের ১৯২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি হচ্ছে বিপিএলের যেকোন উইকেট জুটিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর মাত্র ১০ রানের জন্য এই রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারেননি সাকিব-ইফতিখার।
এদিন ব্যাট হাতে সাকিব এবং ইফতিখার ছিলেন, কেউ কাহোরে নাহি ছাড়ি সমানে সমান আক্রমণাত্মক মুডে। ইফতিখার ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তোলার পথে ৪৫ বলে ৬টি চার ও ৯টি ছয় হাঁকান। এরমধ্যে হ্যাটট্রিক ছয় হাঁকান স্বদেশী হারিস রউফকে। সাকিবও কম যান না। ৪৩ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস ৮৯ রান করার পথে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন মোট ১৫টি। এরমধ্যে ৯টি চার ও ৬টি ছয়ের মার রয়েছে। সাকিব নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো ব্যাক টু ব্যাক ৮০ উর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন।
এছাড়াও এই ইনিংস খেলার পথে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিকও হলেন সাকিব। এই ব্যাটসম্যানের রান এখন ২৪৫। গড় হচ্ছে অকল্পনীয় ১২২.৫০। স্ট্রাইক রেটও চোখ কপালে তোলার মতো ১৯৯। এই রান করার পথে সাকিব চার হাঁকিয়েছেন ২৬টি। যা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৪টি। যা এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ছয়ের দিক থেকে সাকিবের সামনে আছেন তারই সতীর্থ ইফতিখার। তিনি এখন পর্যন্ত হাঁকিয়েছেন ১৬টি। তার রানও এখন বরাবর ২০০। সামনে কেবল নাসির ও সাকিব। এদিন সাকিব এবং ইফতিখার এতটাই লিথ্যাল ছিলেন যে, পাওয়ারপ্লের পরের ১৪ ওভার ২ বলে মানে ৮৬ বলে রান তুলেছেন ১৯২। এরমধ্যে শেষ দশ ওভারে তুলেছেন ১৬৫ রান। যারমধ্যে ১০১ রান এসেছে শেষ ৫ ওভারে। বিপিএলের ইতিহাসে এটাও রেকর্ড। এমনকি শেষ ৩ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান তুলেছেন ৭৩ রান। এটিও রেকর্ড।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      