
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম
চলতি বছরের শুরুর দিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তানের গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। যেখানে টাইগারদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছিল ম্যান ইন গ্রিনরা। এবার ঘরের মাঠে সেই হারের প্রতিশোধ নিতে মাঠে নেমেছে লিটন বাহিনী। মিরপুরে প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। এতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে রইল বাংলাদেশ।
রোববার (২০ জুলাই) আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ১১১ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ইমন।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৪ বলে ১ রান করে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। তিন ব্যাট করতে নেমে ১ রানে আউট হন লিটনও। এতে ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তবে দলের হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং তাওহীদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তুলেছে টাইগাররা। কিন্তু ফিফটি তুলতে পারেননি হৃদয়, ৩৭ বলে ৩৬ রান করে বোল্ড আউট হন এই টাইগার ব্যাটার। এতে ৮০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন ওপেনার পারভেজ ইমন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী। শেষ পর্যন্ত জাকেরের ১০ বলে ১৫ রান এবং পারভেজ ইমনের ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রানে ভর করে ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
পাকিস্তানের হয়ে ২ উইকেট নেন সালমান মির্জা। এ ছাড়াও ১ উইকেট শিকার করেন আব্বাস আফ্রিদি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ফখর জামান। কিন্তু সহজ ক্যাচ তালু বদ্ধ করতে পারেননি তাসকিন।
প্রথম ওভারে ফখর জামানের ক্যাচ মিসের পর বোলিংয়ে আসেন তাসকিন। আর এই ওভারেই সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ আউট করে প্রায়শ্চিত্ত করেন তাসকিন। পরের ওভারে ৩ বলে ৪ রান করা হারিসকে ফেরান শেখ মাহেদী।
পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিবকে বোলিংয়ে আনেন লিটন। ওভারের শেষ বলে সালমানকে ক্যাচ আউট করেন সাকিব। ৯ বলে ৩ রান করেন এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। এরপর মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়ে হাসান নাওয়াজ। এতে পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান।
ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দলকে আরও হতাশ করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। অষ্টম ওভারে রান আউট হন তিনি। ৫ বলে ৩ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। এতে ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ম্যান ইন গ্রিনরা।
কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলছিলেন ফখর জামান। কিন্তু দশম ওভারে মাহেদীর সোজা ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে এবারেও তালুবদ্ধ করতে পারেননি টাইগার স্পিনার। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি এই পাকিস্তানি ব্যাটারের।
১২তম ওভারে সিঙ্গেলের জন্য কল করলেও পিচে মাঝে থেকে না করে দেন খুশদিল শাহ। অন্যদিকে লিটনের হাতে দ্রুত বল পাঠিয়ে দেন তাসকিন। এতে ৪৪ রানে আউট হন ফখর জামান।
এরপর আব্বাস আফ্রিদিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন খুশদিল শাহ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৩ বলে ১৭ রান করেন তিনি। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ।
প্রথম বলে ফাহিম আশরাফকে (৫) ক্যাচ আউট, পরের বলে সালমান মির্জাকে রান আউট এবং পরের বলে আব্বাস আফ্রিদিকে ক্যাচ আউট করেন তিনি। এতে ১১০ রানেই গুঁটিয়ে যায় পাকিস্তান।