• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সক্ষমতা-সম্ভাবনায় আরও এগিয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ০৩:৩২ এএম

সক্ষমতা-সম্ভাবনায় আরও এগিয়ে বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পঞ্চাশ বছরের। দীর্ঘ এ সম্পর্কের মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন সময় ভূমিকা রেখেছে বিশ্বের মোড়ল সংস্থাটি। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াতে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংক।

তবে সম্পর্কে টানাপোড়েন বাঁধে পদ্মাসেতু ইস্যুতে। ঋণ দেয়া থেকে সরে যায় বিশ্বব্যাংক। এ নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে অনেক। তবে সব জাল ছিঁড়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জানান দিয়েছে নিজের সক্ষমতা।

এর পরপরই নড়েচড়ে বসে বিশ্বব্যাংক। নিজেরাই সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগ নেয়। কোভিড পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় চলতি বছর বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সংস্থা আইএমএফ ঋণ দেয় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের বেশি।

এবার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি ঘটা করে পালন করে বিশ্বব্যাংক। সঙ্গে নতুন করে দেয়া হয় আড়াই বিলিয়ন ডলার ঋণ। কূটনীতিকরা বলছেন, এর মাধ্যমে নিজের সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা এটিকে দেখছেন অর্থনৈতিক কূটনীতিতে বড় অর্জন হিসেবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক সমতায় এসে গেছে। বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সক্ষমতা জানান দিতে পেরেছে।

তবে এখানেই থেমে না থেকে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা নিতে পারলে মূল সাফল্য অর্জিত হবে বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।

তিনি বলেন, সম্পর্ক উন্নয়নে থেমে থাকলে চলবে না; এখন সুবিধা নেয়ার ছক কষতে হবে। বিশ্বব্যাংক এরইমধ্যে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার ধারায় ফিরে এসেছে। যা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সাফল্য।


আর বিভিন্ন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার বিষয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, এরইমধ্যে ১২০টি প্রকল্পের মধ্যে ৮৫ টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

এদিকে নতুন পাওয়া ঋণ যেন সঠিক জায়গায় কাজে লাগানো যায়, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সুবিধা পায় সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।

 

জেকেএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ