• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

দোকানঘর ভাড়ার মেয়াদ শেষ, ফেরত দিতে নারাজ ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২২, ১০:২৯ পিএম

দোকানঘর ভাড়ার মেয়াদ শেষ, ফেরত দিতে নারাজ ইউপি চেয়ারম্যান

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দোকানঘর ভাড়া নেয়ার মেয়াদ শেষ হলেও দোকান মালিককে ঘর ফেরত না দেয়া ও অতিরিক্ত জায়গা নিজ দখলে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দোকান ঘরের মালিক।

অভিযুক্ত মো. আব্দুল জব্বার উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ওই ইউনিয়নের সাতগীরি গ্রামের পাইটকাপাড়া এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে।

জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ব্যবসা পরিচালনার জন্য ২০১৭ সালের জুলাই বামনডাঙ্গা শিববাড়ী মোড়স্থ দোকান ঘর মালিক আব্দুল মতিন প্রামাণিক জীবিত থাকা অবস্থায় তার কাছ থেকে ৫ বছর মেয়াদী চুক্তিতে ৩টি রুম ভাড়া নেয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে দোকান ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দোকান মালিক আব্দুল মতিন প্রামাণিক মারা যাওয়ার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার অতিরিক্ত জায়গা দখল ও ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলেও ঘর মালিককে দোকান ঘর ফেরত না দিয়ে দিনের পর পর দিন তালবাহানা করছেন। এ ছাড়াও, থাই গ্লাসের দরজা লাগিয়ে বিভিন্ন মালামাল রেখে দোকান সংলগ্ন বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে রাখেন। ভাড়া পরিশোধ করতে গড়িমসি ও দোকান মালিকের স্ত্রী লিলি বেগমের সঙ্গেও বিভিন্ন সময় অসদাচরণ করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপারে দোকান ঘর মালিকের স্ত্রী লিলি বেগম বলেন, ‍‍`স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে মাস শেষে আমি ভাড়া চাইতে গেলে চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার রাগান্বিত হয়ে খারাপ আচরণ করেন। আমাকে বিভিন্ন অপমানজনক কথাও বলেন। আমার জামাতার সাথেও তিনি খারাপ আচরণ করেন।‍‍`

এবিষয়ে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ও দোকানের ভাড়াটিয়া আব্দুল জব্বার বলেন, ‍‍`আমি কখনো দোকান মালিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি। বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুজ্জামান সরকারের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগকারীসহ তদন্ত কেন্দ্রে বিষয়টি নিয়ে বসতে চেয়েছি।‍‍`

এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‍‍`দোকান মালিকের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।‍‍`
 

এএল/

আর্কাইভ