• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ি বাঁধে মাছ ধরতে হাজারো মানুষ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৮:৪৪ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ি বাঁধে মাছ ধরতে হাজারো মানুষ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

হাতে জাল, সারি বদ্ধ হয়ে পানিতে ফেলছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেউ ভেলায়, কেউ ছোট নৌকায় করে চলছে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। প্রতি বছরের ন্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুক নদীর বুড়ি বাঁধে মাছ ধরা উৎসব শুরু হয়েছে।

সদর উপজেলার চিলারং ও আকচা ইউনিয়নের মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত এ বাঁধটি। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বাঁধের গেট ছাড়ার পর সন্ধ্যা সাতটা থেকে এ মাছ ধরা উৎসব শুরু হয়েছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।

এ উৎসবকে ঘিরে বাঁধে মাছ ধরতে ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। অধিক মাছের আশায় নয় বরং সকলে মিলে একসঙ্গে মাছ ধরার আনন্দ-উল্লাসকে ভাগাভাগি করে নিতেই আসেন বলে জানিয়েছেন তারা।

সদর উপজেলার নারগুন থেকে আসা হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিবারে আমি এখানে মাছ ধরতে আসি। বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে অনেক মানুষ আসেন মাছ ধরতে। সবাই মিলে একসঙ্গে মাছ ধরতে খুব ভালো লাগে। এটা আজকের দিনে একটা মেলায় পরিণত হয়েছে।

বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা গ্রাম থেকে আসা অমলেশ বলেন, গতকাল সন্ধ্যা থেকে জাল দিয়ে মাছ মারছি। খুব বেশি মাছ ধরতে পারিনি। গতবারে অনেক মাছ পেয়েছিলাম। এবারে তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। রিং জাল ব্যবহারের কারণে এবারে মাছ অনেক কম।

মাছ ধরতে আসা স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমি  সকালে মাছ ধরতে এসেছি। মূলত আনন্দ-উল্লাসের জন্য প্রতিবারে আমি আসি। সকাল থেকে নয়টা পর্যন্ত মাছ ধরেছি। পুটি, ষোল, শিংসহ প্রায় তিন কেজি দেশি মাছ ধরেছি।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল বারী বলেন, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম আছে। প্রতি বছর বাঁধটি ছেড়ে দেয়ার পরে এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। যারা এখানে মাছ ধরতে আসেন। আমরা মনে করছি এটার মাধ্যমে আমিষের যে চাহিদা সেটি পূরণ হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা আয়েশা আক্তার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মাছ ধরা উৎসব শুরু হয়েছে। কেউ যাতে অভয়াশ্রমে মাছ না ধরে সে বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাছ ধরছেন।

এএল/

আর্কাইভ