• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াল সিডর দিবস আজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২, ০৮:০৭ পিএম

ভয়াল সিডর দিবস আজ

কুয়াকাটা প্রতিনিধি

১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ভুলতে পারেনি পটুয়াখালীর কুয়াকাটাবাসী সিডরের ভয়াবহতা। আজও তাড়া করে বেড়ায় স্বজন হারানো বেদনা। সিডরের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বেরিবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি। জনসংখ্যার বিপরীতে গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। 

দুর্যোগ সচেতনতা তৈরি হয়নি সাধরণ মানুষের মাঝে। ফলে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ রয়েছে সরাসরি দুর্যোগ ঝুঁকির মুখে। সরেজমিনে জানা গেছে, ১৫ বছর আগে এইদিনে পটুয়াখালীর উপকূলীয় জনপদে আঘাত হেনেছিল সুপার সাইক্লোন সিডর। কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য জীবন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সম্পদ। বেরিবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছিল অসংখ্য এলাকা। এসব বিধ্বস্ত এসব বেরিবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ না করায় এর ক্ষতি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে ওইসব জনপদের মানুষ। 

এসব মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। মানুষের মাঝে তৈরি হয়নি দুর্যোগ বিষয়ে সচেতনতা। ফলে ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টার পরেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি এসব জনপদের জীবনযাত্র। 

সিডরে বাড়ি ও স্বজন হারিয়েছেন সুধীরপুরের সফিকু ইসলাম দুলাল তিনি বলেন, সিডরে আমি দুই বোনকে হারিয়েছে। হারিয়েছি আমার বাড়িঘর আজ পর্যন্ত আমি একটি বাড়ি করতে পারিনি এখন ভাড়া বাসায় থাকি কিন্তু হতাশার বিষয় হলো- এখন পর্যন্ত আমাদের বেড়িবাঁধ ঠিকমতো নির্মাণ করা হয়নি যা করা হয়েছে সবই নড়বড়ে।

ঘূর্ণঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি, পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, সাইক্লোন শেল্টারের সল্পতাসহ দীর্ঘ সময় পর বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানায় মানুষ সাইক্লোন শেল্টারমুখী হচ্ছে। উপকূলীয় জনপদের প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সরকার এমন প্রত্যাশা সবার।

এএল/

আর্কাইভ