• ঢাকা শনিবার
    ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা, বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০৩:১১ পিএম

করোনার সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা, বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন বিএফ.৭ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্টে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর এলাকায় সতর্কতা জারির নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা উপজলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী।

চিঠিতে বলা হয়, চীন-ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও করোনার এই উপরূপটি শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশেও সংক্রমণের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় নতুন ধরনকে ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ উল্লেখ করে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সতর্কতা জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল, জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাপারে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। সব সন্দেহজনক যাত্রীকে র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করতে হবে।

রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মেইলে সতর্কতা জারির নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে স্থাপিত ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার কার্যকর করা হয়েছে। যা দিয়ে শার্শা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার সময় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভারত থেকে আসা পাসপোর্টযাত্রীদর ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটার মেশিনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। চেকপোস্টে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একটি মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে করোনা শুরুর আগ থেকেই।

তিনি আরও জানান, চেকপোস্টে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো স্থায়ী অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় তাদের কাজ করতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জনবলের অভাবে বন্দরেও কাজ করতে পারছেন না। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।

আর্কাইভ