• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিকম্পে তুরস্কে ও সিরিয়ায় নিহত ৬ শতাধিক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম

ভূমিকম্পে তুরস্কে ও সিরিয়ায় নিহত ৬ শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আজ ভোরে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে এএফপি জানিয়েছে, সিরিয়ার আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা এবং টারতুস প্রদেশে ৬২৯ জন আহত হয়েছে। মারা গেছে ২৩৭ জন। এ ছাড়া ভূমিকম্পে তুর্কিপন্থী দলগুলোর নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলে কমপক্ষে আটজন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে মোট মারা গেছে ২৪৫ জন।

এদিকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে তুরস্কে অন্তত ২৮৪ জন মারা গেছে। এ ছাড়া দুই হাজার তিন শজনেরও বেশি আহত হয়েছে। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির বিভিন্ন শহরে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর লাতাকিয়া থেকে শুরু করে ভূমিকম্পটি দক্ষিণে রাজধানী দামেস্ক পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। তুরস্ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে উদ্ধারকারীদের পরস্পরের মধ্যে সমন্বয়ে সহায়তা করতে জনসাধারণকে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে তুষারে ঢাকা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়। প্রবল ঝাঁকুনিতে বহু ভবন ধসে পড়েছে, সেসব ধ্বংসস্তূপে এখনো বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হতাই, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস-এই ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, কাহরামানমারাস শহরে ধসে পড়া ভবনগুলোর চারপাশে লোকজন জড়ো হয়ে জীবিতদের খোঁজ করছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আলেপ্পো প্রদেশে বহু ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে। দেশটির হামা প্রদেশের বেসামরিক পরিষেবা কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সেখানেও বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক, লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং বন্দর শহর ত্রিপোলিতে ভূমিকম্পের কারণে লোকজন দৌড়ে রাস্তায় বের হয়ে যায়, ভবন ধসে পড়তে পারে আশঙ্কায় কেউ কেউ নিজেদের গাড়ি সেখান থেকে সরিয়ে নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। উভয় দেশে শত শত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া জীবিতদের রক্ষা করতে উদ্ধারকারীরা কাজ শুরু করেছেন।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিব ৮ এবং এটি স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৪টার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন এবং সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

আর্কাইভ