 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৪:৩৯ পিএম
-20230226043937.jpg) 
                 
                            
              ঢাকা নগর পরিবহন চালু হয়েছে ঢাকায় বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে। এই পরিবহনের বাস নির্দিষ্ট জায়গায় থামে, ভাড়া বাড়তি নেওয়া হয় না। অন্য বাসের সঙ্গে নগর পরিবহনের বাস প্রতিযোগিতাও করে না।
অবশ্য সেবাটি চালু করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশন (পুনর্বিন্যাস) কমিটি। কারণ, সংশ্লিষ্ট রুটগুলোতে বন্ধ হয়নি রুট পারমিটবিহীন বাস চলাচল। প্রায়ই অভিযান চালানো হয় রুট পারমিটবিহীন বাসের বিরুদ্ধে। এখন এই অভিযানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বেসরকারি বাসমালিক ও শ্রমিকেরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে গত বুধবার লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১১টি দাবি জানানো হয়েছে, যার একটি হলো ঢাকায় বাস রুট পুনর্বিন্যাসের নামে বিভিন্ন রুটে বাস চলাচলে বাধা না দেওয়া। যদিও এই দাবির সপক্ষে তাদের তেমন কোনো যুক্তি নেই; বরং মালিকেরা স্মরণ করিয়ে দিলেন সরকারের পাশে থাকার কথা। তাঁরা বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে এবং ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় সরকারের পক্ষে ঢাকা শহরে চলাচলকারী গাড়ির মালিক-শ্রমিকেরা বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের চিঠিতে সড়ক পরিবহন আইন শিথিল করা এবং দুটি ধারায় তদন্ত ছাড়া মামলা না দেওয়ার দাবিও রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা শহরে বাস টার্মিনালের বাইরে থাকা বাস কাউন্টারগুলো উচ্ছেদের যে উদ্যোগ রুট রেশনালাইজেশন কমিটি নিয়েছে, তারও স্থগিতের দাবি তুলেছেন মালিকেরা। উল্লেখ্য, আগামী ১ এপ্রিলের পর ঢাকায় টার্মিনালের বাইরে আর কোনো কাউন্টার রাখতে দেবে না রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। এই কমিটির সভাপতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব দাবি তোলার মানে হলো, সড়কে বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রাখার চেষ্টা। এ ক্ষেত্রে মালিক ও শ্রমিকনেতারা যে একজোট, তা-ও বোঝা যাচ্ছে ওই চিঠির মাধ্যমে। অথচ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ।
নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মালিক-শ্রমিকেরা কখনোই সহায়তা করেননি। মালিক-শ্রমিকেরা চাইলেই সব পান, তাঁদের চাওয়ার বাইরে কিছু হয় না। এসব দাবি তুলে তাঁরা সড়কের বিশৃঙ্খলাকে জায়েজ করতে চাইছেন। তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের সরকারের নানাভাবে প্রয়োজন হয়। সরকারের সর্বোচ্চ মহলে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন। কী সিদ্ধান্ত আসবে, সেটা বোঝার উপায় নেই।
সড়ক আইন শিথিলের দাবি
১১টি দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সই করেছেন মালিক ও শ্রমিকদের চারটি সংগঠনের আটজন নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান (রাঙ্গা) ও সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রমুখ।
চিঠিতে এক নম্বর দাবিতে সড়ক পরিবহন আইন শিথিল করার বিষয়টি রয়েছে। বলা হয়েছে, আইনটির অসংগতিপূর্ণ ধারাগুলো সংশোধনের জন্য মালিক-শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে সভা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী যে সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা অবিলম্বে পাস করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মুখে সরকার ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন সড়ক পরিবহন আইন পাস করেছিল। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাপে এটি কার্যকর করতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যায়। নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ঘোষণা দেওয়ার পর সারা দেশের পরিবহনশ্রমিকেরা ২০১৯ সালে জেলায় জেলায় ধর্মঘট শুরু করেন। পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের চাপের মুখে ২০১৯ সালের শেষ দিকে নতুন আইন সংশোধন করে প্রায় প্রতিটি ধারা শিথিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়ক আইনে ৪২টি ধারায় অপরাধ এবং কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। পরিবহনমালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ৩৪টি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আসে। এর মধ্যে ২৯টি ধারা আমলে নিয়ে সংশোধনের সুপারিশ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। আইনে যতগুলো ধারা সংশোধনের মাধ্যমে শিথিল করার সুপারিশ করা হয়েছে, প্রায় সব কটিই পরিবহনচালক, মালিক ও কর্তৃপক্ষের শাস্তিসংক্রান্ত।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের চিঠিতে তিন নম্বর দাবি হিসেবে সড়ক পরিবহন আইনের দুটি ধারা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়। বলা হয়, তদন্ত ছাড়া দণ্ডবিধির ৩০২ এবং আইনের ১০৫ ধারায় মামলা করা যাবে না। স্পর্শকাতর দুর্ঘটনাগুলো তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং মালিক-শ্রমিকনেতাদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন আইনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়ই ছিল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির দায়ে শাস্তির বিধান। এই অপরাধে দায়ী চালকের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল। আইনটিতে বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটানো হয়েছে, তা তদন্তে প্রমাণিত হলে ফৌজদারি আইনের ৩০২ ধারায় মামলা স্থানান্তর হবে। অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের সাজার সুযোগ রয়েছে।
সড়ক পরিবহন আইনের ১০৫ ধারায় বলা হয়েছিল, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গাড়ি চালানোর ফলে বা অবহেলার কারণে কেউ যদি দুর্ঘটনার শিকার হন এবং এতে যদি কেউ মারা যান বা মারাত্মকভাবে আহত হন, তাহলে দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড কিংবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় শাস্তি হবে। মালিক-শ্রমিকদের দাবি মেনে ধারাটি সংশোধনের উদ্যোগ আগেই নেওয়া হয়েছে। এই ধারা থেকে ‘মারাত্মকভাবে আহত’ বিষয়টি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং জরিমানা কমিয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিষয়টি রাখা হয়েছে। এখন মালিক-শ্রমিকেরা তদন্ত ছাড়া এই ধারায় মামলা রুজু না করারই দাবি তুলেছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, মালিক-শ্রমিকদের সব সংগঠন মিলে এই দাবি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি দাবিই যুক্তিসংগত। তিনি বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে বাস রুট পুনর্বিন্যাসে অন্য বাস চলাচল বন্ধ করলে মালিকেরা কী করবেন। এমন কিছু দাবি রয়েছে, যেগুলো সড়কে দুর্ঘটনা কমাবে। পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের বিশৃঙ্খলা কমানোর চেষ্টা রয়েছে, বাড়ানোর নয়।
রুট পুনর্বিন্যাস
ঢাকার রাস্তায় চলা বেশির ভাগ বাস লক্কড়ঝক্কড় ও জীর্ণ। কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে এসব বাস পরিবেশ দূষণ করে। আবার যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়াও নেয়। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিত বচসা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এমনকি বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। যাত্রী ওঠানো নিয়ে প্রতিযোগিতা দুর্ঘটনার বড় কারণ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে রাজধানীর পুরোনো বাসগুলো উঠিয়ে নতুন চার হাজার বাস নামানো এবং বাসগুলো রুটভিত্তিক কোম্পানির অধীনে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উদ্যোগটি এগোয়নি। দক্ষিণ সিটিতে মেয়র হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা নগর পরিবহন চালুর উদ্যোগ নেন। তিনি ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভায় বাসসেবায় নৈরাজ্যের বিষয়ে বলেছিলেন, ‘ঢাকাবাসীকে জিম্মি করে এই অরাজকতা দিনের পর দিন চলবে না। আই উইল মেক ইট হ্যাপেন (আমি এটা করে দেখাব)।’
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। এখন পর্যন্ত তিনটি রুটে চালু হয়েছে এই সেবা। অবশ্য এতে নাখোশ অন্য বাসের মালিকেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ঢাকা নগর পরিবহনের বাসসেবায় নানাভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। যদিও এবার সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ দাবি করেছে, ঢাকায় বাস রুট পুনর্বিন্যাসের নামে বিভিন্ন রুটের মালিকদের গাড়ি চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন গাড়ির রুট পারমিট প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
টার্মিনালের বাইরে কাউন্টার
বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৫তম সভায় গত ১৩ ডিসেম্বর কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দেন যে ১ এপ্রিল থেকে সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ছাড়া ঢাকা শহরের ভেতরে কোনো আন্তজেলা বাস কাউন্টার থাকতে দেওয়া হবে না। মূলত সড়কে বাস পার্কিংয়ের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট তৈরি হয়। যানজট কমাতেই এই উদ্যোগ।
এই উদ্যোগের বিষয়েও আপত্তি পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া চিঠি অনুযায়ী, শহরের ভেতরে আন্তজেলা বাস কাউন্টার না থাকলে পরিবহন মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই ঢাকার বাইরে নতুন টার্মিনাল নির্মাণ না করা পর্যন্ত ঢাকা শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো কাউন্টার না সরানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের বাকি দাবির মধ্যে রয়েছে, মোটরযান পরিষেবার বিভিন্ন বাড়তি ফি কমানো, চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে মাদক পরীক্ষার ফি কমানো, ট্রাক টার্মিনাল ও বিশ্রামাগার নির্মাণ, টার্মিনালে কর্তৃপক্ষ গঠন, তিন দিন সড়ক নিরাপত্তা দিবস পালন ইত্যাদি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, সেসব সিদ্ধান্তের সভায় তো মালিক সমিতির নেতারা থাকেন। তাঁরা তো প্রতিবাদ করেন না।’ তিনি বলেন, যেসব রুটে ঢাকা নগর পরিবহন চালু হয়েছে, সেখানে অন্য বাস চললে তো বিশৃঙ্খলা হবে। এক বাসের সঙ্গে অন্য বাসের প্রতিযোগিতা বন্ধ করতেই তো এই উদ্যোগ।
চার বছরে সর্বোচ্চ প্রাণহানি
অবশ্য সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা মনে করেন, দেশজুড়ে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও রুট পারমিটবিহীন বাস এই মালিকেরা পরিচালনা করেন। চালক হিসেবে নেন লাইসেন্সহীন ব্যক্তিদের। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না। নিরাপদ সড়কের জন্য চার বছর আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশকাঁপানো আন্দোলনের পর সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে—এমন আশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি ঘটেনি। দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বাড়ছেই। চার বছরের মধ্যে সড়কে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ছয় হাজার প্রাণহানি ঘটেছে ২০২২ সালে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে সড়কে বিশৃঙ্খলার দায় শুধু মালিক ও শ্রমিকদের নয়, দায় আছে বিআরটিএর, পুলিশের। বিআরটিএ ও পুলিশ নিজেদের রক্ষা করে চলে। আর মালিক-শ্রমিকেরা পেশিশক্তিতে পরিণত হয়েছেন। মালিক-শ্রমিকেরা মনে করেন, ২০১৪ সালে জ্বালাও-পোড়াওয়ের সময় তাঁদের ভূমিকার কারণে সরকারও তাঁদের কাছে ঋণী। তিনি বলেন, ‘আমি মালিক-শ্রমিকদের অন্যায় আবদারকে সমর্থন করছি না, তবে মনে করি নৈরাজ্যের সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার।’
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      