• ঢাকা শুক্রবার
    ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেতাদের ভিড়ে আগুনের ভয়াবহতাও যেন কাটিয়ে ওঠেছে নিউমার্কেট

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৩, ১১:১২ পিএম

ক্রেতাদের ভিড়ে আগুনের ভয়াবহতাও যেন কাটিয়ে  ওঠেছে নিউমার্কেট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শনিবারের (১৫ এপ্রিল) সকালটা ছিল অন্যরকম। ভয়াবহ আগুনে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছিল নিউমার্কেট এলাকার পরিবেশ। তবে জীবনতো থেমে থাকে না। ক্রেতাদের ভিড়ে আগুনের ভয়াবহতাও যেন কাটিয়ে ওঠেছে নিউমার্কেট এলাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ শপিংয়ে নিউমার্কেট ও আশপাশের বিপণি বিতানগুলোতে রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। তবে এদিন বন্ধ ছিল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সুপার মার্কেট।

তবে নিউমার্কেট, চন্দ্রিমা, গাউছিয়াসহ ফুটপাতে অসংখ্য ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে বেচাকেনা। অবস্থা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই, এখানে ঘটে গেছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট (দক্ষিণ) ভবনে আগুনের ঘটনার পর অনির্দিষ্টকালের জন্য নিউমার্কেটের সব দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে সকাল থেকে নিউমার্কেটের মূল মার্কেটটি খুলে দেয়া হয়। এছাড়া পুরো নিউমার্কেটের ফুটপাতেও সারি সারি চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করছেন হকাররা।

রোববার ঈদের বেচাকেনায় জমজমাট নিউমার্কেট এলাকা। 

আলমগীর নামে নিউমার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকাল ১১টা থেকেই মার্কেট খোলা শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে পুরো দমে খুলেছে মার্কেট ও ফুটপাতের সব দোকান।

চন্দ্রিমা মার্কেটের জননী গার্মেন্টসের ব্যবসায়ী রফিক বলেন, ‘আমরা একটু আগেই দোকান খুলেছি। ঈদের আগে একদিন দোকান বন্ধ থাকাই বিরাট লস। এমনেই গতকাল (শনিবার) খুব ধকল গেছে। এত এত ক্রেতা আসছে, যে দোকান না খুলে পারলাম না।’

একই মার্কেটের নিচ তলার এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা মার্কেট খোলার জন্য দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। মালিক সমিতির নির্দেশনা পাওয়ামাত্র মার্কেট খুলেছে।’

এর আগে, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য জানতে পারে ফায়ার সার্ভিস। ৫টা ৪৩ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে রোববার সকালে আগুন পুরোপুরি নেভে।

আগুন নেভাতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ার নানা দৃশ্য দিনমান ঘুরতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

 


এডিএস/

আর্কাইভ