প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০১:২৪ এএম
কুমিল্লার বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের সদর এলাকা থেকে ৪ হাজার ২শ পিস নেশাজাতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ পুলিশ সদস্যের ছেলে সিয়াম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকাল সাড়ে ৪টান দিকে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক নেশাজাতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিয়ে বুড়িচং বাজারে দিকে যাচ্ছে- এমন গোপন সংবাদে থানার এসআই মো. সোহরাব হোসেন, এএসআই মিঠুন ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় দুইটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পুলিশের সংকেত অমান্য করে মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে থানার সামনে পৌঁছলে সালাউদ্দিন ও কাউছারের মোটরসাইকেল আটক করা হয়। অপর মোটরসাইকেল বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের যদুপুর মাদ্রাসার সামনে পৌঁছলে ৪ হাজার ২শ পিস নেশাজাতীয় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ সিয়াম নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় পেছনে সিয়ামকে দেখিয়ে সালাউদ্দিন ও কাউছার পালিয়ে যায়।
আটককৃত সিয়াম বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পলাতক দুজন মাদক ব্যবসায়ী হলেন- একই উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিন এবং মো. ছাদেকের ছেলে বিজিবির চাকরিচ্যুত কাউছার। তাদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই মো. সোহরাব হোসেন।
মাদকসহ গ্রেফতারকৃত সিয়ামের মা থানায় উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে এ কাজ করতেই পারে না। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। বাড়ি থেকে ডেকে এনে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়ে সালাউদ্দিন পালিয়ে গেছে।
বুড়িচং থানার এসআই সোহরাব হোসেন বলেন, সিয়ামকে ৪ হাজার ২শ পিস নেশাজাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক করি। আটক করার পর সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন- এই ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সালাউদ্দিন ও কাউছারের। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করে সোমবার কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নাই। জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
