• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

যশোরে আক্রান্ত ৩৫ শতাংশের শরীরে প্রাকৃতিক 'অ্যান্টিবডি'

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২১, ০৬:২৯ এএম

যশোরে আক্রান্ত ৩৫ শতাংশের শরীরে প্রাকৃতিক 'অ্যান্টিবডি'

দেশজুড়ে ডেস্ক

 করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫ শতাংশের দেহে প্রাকৃতিক 'অ্যান্টিবডি' পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে করোনায় আক্রান্ত কিংবা ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছিলেন। জেলার তিন উপজেলার আক্রান্ত ৪০০ মানুষের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। 

শুক্রবার (৬ আগস্ট) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ গবেষণার কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার এই গবেষণা পরিচালনা করে। মানুষের শরীর থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতিতে এই গবেষণা চালানো হয়। করোনার ডেল্টা ধরনের ঊর্ধ্বগতির ফলে মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধের প্রকৃত হার জানতেই এই গবেষণার উদ্যোগ নেয় যবিপ্রবি।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব বাড়িতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে পজিটিভ করোনা রোগী ছিল, সেসব পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৩৮ ভাগের প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আর করোনা পজিটিভ রোগী সংশ্লিষ্ট বাড়ির পাশের করোনা পজিটিভবিহীন বাড়ির ২৪ ভাগে করোনার প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টিবডি’ পাওয়া গেছে। গ্রামের তুলনায় শহরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির শতকরা হার কম।

এই গবেষণায় ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের বাদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া এত বেশি মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডি থাকা এটাই প্রমাণ করে, আমাদের চারপাশে করোনা উপসর্গহীন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। অধিক জনসংখ্যা, মানুষের মাস্ক ব্যবহারের উদাসীনতাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য করোনা পজিটিভ মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘অ্যান্টিবডি’ শনাক্তকরণের গবেষক দলের সদস্যরা হলেন- পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী পিপাসা সুলতানা, সুরাইয়া ইয়াসমিন, লক্ষ্মী সরকার এবং পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী নওশাদ মাহমুদ চয়ন।

গবেষক দল জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা সংস্পর্শে আসায় তাদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তবে করোনা থেকে বাঁচতে কিংবা ‘হার্ড-ইমিউনিটি’ তৈরির জন্য মানুষের শরীরে কমপক্ষে ৬০-৭০ শতাংশ অ্যান্টিবডি থাকা আবশ্যক। তাই শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে এবং প্রাকৃতিকভাবে তৈরি অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কতদিন থাকবে, তা কোনো গবেষণায় প্রমাণিত না হওয়ায় টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই।

সম্রাট/নির্জন
আর্কাইভ