• ঢাকা শুক্রবার
    ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শতবর্ষ উদযাপন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শতবর্ষ উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অ্যালামনাই সোসাইটির আয়োজনে  বিভাগের শতবর্ষ উদযাপনের আসর বসেছিলো গতকাল রাতে  রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের ‍‍‘ওয়েসিস‍‍’ প্রাঙ্গণে। 

বর্নিল ও বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে  স্বতঃস্ফুর্তভাবে সামিল হয়েছেন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা; যারা চোখে স্বপ্ন, মনে প্রেরণা সঞ্চার করে নিজেকে ও সমাজকে সাজাতে  এসেছিলেন এ বিদ্যাপীঠে।  আকাঙ্খা ছিল অসুন্দর ও অকল্যাণের ব্যারিকেড ভেঙে একটি আলোকিত আগামী ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণ করবেন। এসেছিলেন তারা; যারা তারণ্যের স্পর্ধিত অহংকারে শোষণের অবসানে সাম্য ও সম্প্রীতির সমাজ সৃষ্টির শপথ করেছিলেন; তারা আজ কেউ  প্রবীণ, কেউ বার্ধক্যে উপনীত আবার মধ্যবয়সী। এদের মধ্যে কেউ জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, আবার কারো স্বপ্নের রং ফিকে হয়ে গেছে বাস্তবতার নির্মম কষাঘাতে। জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতাকে পাশে ফেলে এখানে এসে সবাই ফিরে গেছেন ক্যাম্পাসের সেইসব দিনগুলোতে যেখানে সবাই ছিলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা; যেখানে প্রতিটি ক্ষণে জীবন নতুন আঙ্গিকে, নতন উদ্দীপনায় ধরা দিতো মনের আঙিনায়। 

শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে। 

অ্যালামনাই সোসাইটির কাছে ‍‍‘ঋণখেলাপী‍‍’ হয়ে থাকবেন জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাহিত্য মানুষের বোধের উদ্বোধন করে, এ বোধে উদ্দীপ্ত, আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত মানুষই পৃথিবীতে ফরাসী বিপ্লবের ঝান্ডা উড়িয়েছে, রুশ বিপ্লবকে অনিবার্য করে তুলেছে। সাহিত্য মানুষের মুক্তির দুয়ার খুলে দেয়, সম্প্রীতির সেতুবন্ধ তৈরি করে। জীবনের সামগ্রিকতাকে আবিষ্কার করতে হলে সাহিত্য পাঠের বিকল্প নেই। সাহিত্যের মধ্যে ইতিহাস যেভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে অন্য কোনোভাবে, এমনকি ইতিহাসের মধ্যেও ইতিহাস এভাবে প্রাণবন্ত ও বিমূর্ত হয়ে উঠে না। 

তিনি বলেন, সাহিত্যের সামগ্রিকতার বিপরীতে পুঁজিবাদ ব্যক্তি ও সমাজকে বিচ্ছিন্ন করে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে রাখে। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি ও বিভক্ত সমাজ সামষ্টিক চেতনা ধারণ করতে পারে না, আর তখনই পুঁজিবাদ সমাজে তার শোষণ ও শাসনের থাবা বিস্তার করে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে। এজন্য সাহিত্যের পাঠ নিতে হবে। সাহিত্যই মানুষকে দিতে পারে মুক্তির পথ। 

তিনি তরুণদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অ্যালামনাই সোসাইটির সভাপতি রামেন্দু মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান। 

অনুষ্ঠান রামেন্দু মজুমদারকে সভাপতি ও আমিনুল ইসলাম খানকে সাধারণ সম্পাদক করে সোসাইটির  ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

/এএল

আর্কাইভ