• ঢাকা শনিবার
    ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ১১:৪৬ পিএম

ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থী নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেপরোয়া অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় এক্সিডেন্ট করলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে জাবি মেডিকেলে নিয়ে গেলে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি রাস্তা পার হচ্ছিল। এ অবস্থায় একটি দ্রুতগামী রিকশা তাকে ধাক্কা মারে এবং সে গাছের উপর আছড়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীর নাম আফসানা করিম রাচি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পিতার নাম মো. রেজাউল করিম। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলায়। তবে তার পরিবার রাজধানীর গ্রীণ রোডে থাকে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাব্বির বলেন, আমরা যখন পেয়েছি তখন চোখের মনি ফিক্সড ছিল। তার হার্টবিট পাইনি, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি করি। তার বুকের উপর ভারী আঘাতের কালচে চিহ্ন ছিল।

হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার সবুজ জানান, সন্ধ্যা ঠিক সাড়ে সাতটায় তাকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার শরীরে মেজর কোন ইনজুরি পাইনি৷ তবে তার দাঁত পুরো মাড়িসহ বের হয়ে এসেছে। সম্ভবত এ আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে বেপরোয়া যান চলাচল ও প্রশাসনের অবহেলাকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যে পরিমাণ অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি রয়েছে তারা চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ অটোরিকশা চলছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে এস্টেট শাখার আব্দুর রহমানকে একাধিক ফোনকলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৫৩ ব্যাচে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় কোনোভাবেই প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, সড়ক উন্নয়ন ও সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ডেকেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

আর্কাইভ