• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারীর ভিডিও কলের ফাঁদে ব্যবসায়ী, খোয়ালেন সাড়ে ৩ কোটি টাকা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৫:০৪ পিএম

নারীর ভিডিও কলের ফাঁদে ব্যবসায়ী, খোয়ালেন সাড়ে ৩ কোটি টাকা

বিনোদন ডেস্ক

ইন্টারনেট দুনিয়ার হাজারো সুবিধা থাকলেও অসুবিধাও কম নয়। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলার জন্য কিছুকিছু ব্যাক্তিরা অহরহ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এক নারীর ভিডিও কলের ফাঁদে পড়ে শেষ পর্যন্ত ২ কোটি ৬৯ লাখ রুপি হারিয়েছেন  ভারতের নবায়নযোগ্য জ্বালানিপ্রতিষ্ঠানের এক ব্যবসায়ী। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক পুলিশ কর্মকর্তা গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।

একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভিডিও কলে ওই নারী বলেন, তার নাম রিয়া শর্মা। তিনি রাজ্যের মরবি জেলার বাসিন্দা। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ভিডিও কল চলাকালে ওই ব্যবসায়ীকে বিবস্ত্র হতে রাজি করান ওই নারী। হঠাৎ করেই তিনি কলটি কেটে দেন। এরপর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার রুপি দাবি করেন ওই নারী। অন্যথায় তার বিবস্ত্র ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, কয়েক দিন পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে ফোন দেন এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি নিজেকে দিল্লি পুলিশের পরিদর্শক গুড্ডু শর্মা বলে দাবি করেন। তার হাতে ওই ভিডিও ক্লিপ আছে জানিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে তিন লাখ রুপি দাবি করেন।

এই পুলিশের কর্মকর্তা আরো জানান, ‘১৪ আগস্ট আরেক ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীকে ফোন দিয়ে নিজেকে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার রুপি চান ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। দাবি করেন, ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ওই ব্যবসায়ী এসব অর্থ পরিশোধ করেন। এরপর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) কর্মকর্তা পরিচয়ে এক ব্যক্তি ফোন করেন। তিনি মামলাটি মীমাংসা করে দিতে ৮ লাখ ৫০ হাজার রুপি দাবি করেন। বলেন, ওই নারীর মা কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে গেছেন।

পরবর্তীতে ওই ব্যবসায়ীকে বলা হয় দিল্লি হাইকোর্টের নামে একটি ভুয়া আদেশ দেখিয়ে মামলাটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থ দেওয়া অব্যাহত রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তবে একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় তার। এরপর ওই ব্যবসায়ী ১০ জানুয়ারি থানার সাইবার অপরাধ বিভাগে যান। তিনি ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬৯ লাখ রুপি চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছেন।

আর্কাইভ