• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় বেড়েছে শনাক্ত, কমেছে প্রাণহানি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২২, ১০:৫৯ পিএম

করোনায় বেড়েছে শনাক্ত, কমেছে প্রাণহানি

আদালত প্রতিবেদক

দেশে শীত মৌসুম শুরুর আগেই বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তবে আগের দিনের তুলনায় প্রাণহানি কমলেও বেড়েছে সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩৮৬ জনে।

একই সময়ে সারা দেশে নতুন করে আরও ৪৬০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ৫৫০ জনে। শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৭ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৪ জন। এনিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭১ হাজার ২০৩ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮২টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পাঁচ হাজার ২০৭টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ১৯৩টি।

এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৪৯ লাখ ২২ হাজার ৭০২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার আট দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

মৃত দুইজনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে একজন ও খুলনা বিভাগে একজন মারা যান। মৃত দুইজনই সরকারি হাসপাতালে মারা যান।

এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৭ জন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫১ হাজার ২২৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২০ হাজার ৯৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৩০ হাজার ২৮৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তবে দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

জেডআই/

আর্কাইভ