
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২১, ০৪:৫৬ পিএম
পশ্চিমবঙ্গের
মন্ত্রী, কলকাতার সাবেক মেয়র ও তৃণমূল
কংগ্রেসের নেতা ফিরহাদ হাকিমসহ
চারজনকে আদালতের নির্দেশে সোমবার (১৭ মে) রাতে
কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুরের পর সিবিআই-এর
আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের জামিন বাতিল করা হয়।
সোমবার
সকালে নারদ দুর্নীতি মামলায়
ফিরহাদসহ চারজনকে সিবিআই গ্রেফতার করে। তারা হলেন-
সাবেক মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত বিধায়ক
সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের নেতা ও কলকাতা
পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান
মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, সাবেক মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত তৃণমূল
বিধায়ক মদন মিত্র ও
কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক
মেয়র ও বর্তমান বিজেপি
নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাদেরকে
নিজ নিজ বাসভবন থেকে
তুলে নিয়ে সিবিআই কার্যালয়
নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিকেলেই চার নেতার জামিন
নিয়ে শুনানি হয়। রাত সাড়ে
৮টার দিকে তাদের অন্তর্বর্তী
জামিন দেন আদালত।
সিবিআই
তাৎক্ষণিকভাবে কলকাতা হাইকোর্টে জামিন বাতিলের আবেদন করে। একই সঙ্গে
মামলাটি অন্য কোনো রাজ্যে
স্থানান্তরের আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট
রাতেই তাদের জামিন বাতিল করে এবং তাদেরকে
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গ
বিধানসভার নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভার
শপথ গ্রহণের আগে রাজ্যপাল জগদীপ
ধনখড় গত ৯ মে
এই চার নেতার বিরুদ্ধে
নারদ অর্থ কেলেঙ্কারি মামলা
চালানোর অনুমতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায়
এই চার নেতাকে আটক
করে সিবিআই।
২০১৬
সালের মার্চ মাসে রাজ্য বিধানসভার
নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের ঘুষ নেয়ার এক
কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। এ
ঘটনায় ২০১৭ সালের মার্চে
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ নারদ কেলেঙ্কারির মামলা
তদন্তের ভার দেয়া হয়
সিবিআইকে। সে মামলায় পশ্চিমবঙ্গের
সে সময়ের চার মন্ত্রীসহ তৃণমূলের
আরও কয়েক নেতাকে আসামি
করা হয়। কিন্তু মন্ত্রীদের
বিরুদ্ধে মামলা চালাতে রাজ্যপালের অনুমতির দরকার হয়। সিবিআই রাজ্যপালের
কাছে মামলা চালানোর অনুমতি চাইলে দীর্ঘদিন পর রাজ্যপাল তাদের
বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দেয়।
উল্লেখ্য,
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৬ সালের
১৪ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল
কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও
বিধায়কের অর্থ গ্রহণের চাঞ্চল্যকর
তথ্য ফাঁস করে দিল্লির
নারদনিউজ ডটকম নামের একটি
ওয়েব পোর্টাল।
শামীম/এম.জামান