
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২১, ০৮:২১ পিএম
নিরাপদ,
টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শুধু
নগর নয়; পরিকল্পিতভাবে গ্রামকে
গড়ারও উদ্যোগ নিতে হবে বলে
জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী
মো. তাজুল ইসলাম। গ্রামে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে যথাযথ
কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিয়েই
করতে হবে বলেও জানান
মন্ত্রী।
বুধবার
(৫ মে) মিন্টু রোডের
সরকারি বাসভবন থেকে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এবং
‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স’ আয়োজিত ‘মেয়র সংলাপ : নিরাপদ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর’ বিষয়ক
ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা
জানান।
মন্ত্রী
বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার
গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের ফলে শহরের সব
সুযোগ সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। তাই এখন থেকেই
গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে।
গ্রামগঞ্জে
কোথাও কেউ যদি বাসাবাড়ি,
দোকানপাট, মসজিদ-মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতসহ যেকোনো
অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায় তাহলে
অবশ্যই একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের
কাছ থেকে অনুমতি নিতে
হবে। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন
পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।
রাজধানীতে
জোন ভিত্তিক বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসসহ
অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল নির্ধারণ করার
ওপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন,
গুলশান, বনানী-বারিধারা এলাকার মতো যাত্রাবাড়ী বা
স্বল্প আয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকার ইউটিলিটি বিল সমান হতে
পারে না এবং এটা
নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গত হবে
না।
তিনি
আরও বলেন, নাগরিক সেবার নামে যত্রতত্র রাস্তা
কেটে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে
সরকারের সব সংস্থা বা
দফতরের সমন্বয় করে জনসেবা এবং
নগরের উন্নয়ন করতে হবে।
মন্ত্রী
ঢাকা শহরের ৩৯টি খালসহ সব
বড় শহরের আওতাধীন খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট
চালু করে সৌন্দর্যবর্ধন ও
নাগরিকবান্ধব করতে সব সিটি
করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দেন।
তরিকুল/নূর/জেএনই/এম.
জামান