• ঢাকা বুধবার
    ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

তরুণ উদ্যোক্তা উন্নয়নে ৭.৫ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০২:৩৩ এএম

তরুণ উদ্যোক্তা উন্নয়নে ৭.৫ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের তরুণ উদ্যোক্তা উন্নয়নে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিই সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে ৭.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইউনিভার্সিটিজ ইন বাংলাদেশ টু প্রমোট ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ’ নামে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

এই প্রকল্পের আওতায় তরুণ উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হবে। উদ্যোক্তা উন্নয়নে অবকাঠামোগত সহায়তা, আন্তর্জাতিক আঙ্গিকে পাঠ্যক্রম তৈরি, বাংলাদেশের এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইকোসিস্টেমের সঙ্গে জড়িত সব অংশীদারের মধ্যকার সংযোগকে শক্তিশালী করা ও গবেষণার মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান  এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিপাবলিক অব কোরিয়ার বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত লি জাং-কিউন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রিপাবলিক অব কোরিয়া, সরকার, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ডেভেলপমেন্ট সেক্টর এবং একাডেমিয়ার প্রতিনিধিগণ।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া সাহায্য-সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। তিনি এই পাইলট প্রকল্পের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এই পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিষয়ে দক্ষ ও সক্ষম হয়ে গড়ে উঠবে।’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্য এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য কোরিয়ান সরকার, বিশেষ করে কোইকা কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. লি জাং-কিউন বলেন, ‘এই প্রকল্প হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের এক অনন্য প্রতীক। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনে দক্ষতা অর্জন করে দেশ-বিদেশে নেতৃত্বদানে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

অর্ণব/এম. জামান

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ