মুনওয়ার আলম নির্ঝর
                                  
              শিরোনানমটির অর্থ সবার কাছে বোধগম্য হবে না। অনেকে এই ভাষাকে বিদেশি ভাষা ভাবতে পারেন।
এই ভাষাটি বাংলার একটি উপভাষা। বিপন্নপ্রায় এই উপভাষার নাম ‘খিয়াং’। শিরোনামে থাকা শব্দগুলোর অর্থ-‘বেঁচে থাক মায়ের ভাষা।’ 
বাংলাদেশে এখনও বাংলা ভাষাসহ ৪১টি উপভাষা প্রচলিত আছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের ভাষা শুমারির তথ্য অনুযায়ী, ৪১টি উপভাষার প্রায় ৪০টিই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর।
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কোর মতে, পৃথিবীতে কোনো ভাষায় কথা বলা লোকের পরিমাণ পাঁচ হাজারের কম হলে তা বিপন্ন ভাষা হিসেবে বিবেচিত। এ হিসেবে বাংলাদেশে বিপন্ন ভাষার সংখ্যা ১৪টি। শুমারিতে দেখা গেছে এর মধ্যে বিপন্ন হয়েছে ১৪টি ভাষা।
এগুলোর মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে পাঁচটি । ভাষাগুলো হচ্ছে বিষণুপ্রিয়া মণিপুরি, ককবোরক কুঁড়ুক, বোম এবং সাক। এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে খুমি, খিয়াং, পাংখোয়ার মতো ভাষাগুলো।
ওঁরাও, মুন্ডা, মালো, রাউতিয়া, মুশহর ও শবর ভাষাভাষীরা নিজেদের ভাষার অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারেনি। গবেষকরা বলছেন, সিং, কর্মকার, গণ্ড, বেদিয়া, বর্মন ও লোহার ভাষাও আগামী কোনো একসময় ঝুঁকির মধ্যে পড়ার আশংকা রয়েছে।
ভাষা গবেষকরা জানান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনাও ভাষা বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এসব ভাষাকে টিকিয়ে রাখতে হলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিউটকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে, ভাষাগুলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে।
									
                                  
                                
                  
                    
                  
                    
                      ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন