প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
কুড়িগ্রামে কয়েকদিনে উত্তরের হিমেল হাওয়া আর শীত ও ঠাণ্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতল বাতাসে বাড়ছে কাঁপুনি। দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকলেও মিলছে না সেই কাঙ্ক্ষিত উষ্ণতা। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কষ্ট বেড়েছে চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার ষাটোর্ধ মেজবান, মোশাররফ হোসেন(৫০) জসিম উদ্দিন(৪৫) আব্দুল কাদের(৬০)সহ অনেকেই বলেন, শীতের তীব্রতায় কুড়িগ্রামে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুররা পরেছেন বিপাকে।
সদর উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের দিনমজুর সালে আহমেদ(৫০) বলেন, শীতের কারণে সকালে কাজে যাইতে দেরি হয়। ঠাণ্ডায় হাত-পা চলতে চায় না, তবু কাজ না করে উপায় নাই। পেট তো চলে লাগবে।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম(৫৮) বলেন, এবার ঠাণ্ডার মাত্রা অনেক বেশি। এত শীতে অনেক গুলো ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্টে আছি। এখন পর্যন্ত একটা কম্বলও পাই নাই। ভীষণ কষ্টে দিন পার করছি।
একই ইউনিয়নের মীলেরপাড় এলাকার বাসিন্দা এলাকার আজগার আলী(৫০) বলেন, এত ঠাণ্ডায় কাজ করতে পারি না হাত-পা জ্বালা করে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ছকমল হোসেন(৬০) বলেন, আমার ছেলের কয়েক দিন থাকি জ্বর সর্দি ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছি।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস বলেন, জেলায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা এখনও তেমন বাড়েনি। এরপরও বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন যে রোগীরা আসছেন তারা আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলা ত্রাণ কার্যালয় সূত্র জানায়, শীতের কম্বল ক্রয়ের জন্য ৯ উপজেলায় ৬ লাখ টাকা করে ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা গত সপ্তাহে অর্থ ছাড় হলেও কোথাও কম্বল বিতরণের কোন দৃশ্যমান তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশা পড়ার সাথে দিন দিন তাপমাত্রা কমে আসবে।