
প্রকাশিত: মে ২১, ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
খাবার সংকট তো আছেই, এখন পানির জন্যও হাহাকার শুরু হয়েছে গাজায়। আরও কয়েক মাস আগে থেকেই এ সংকট চলছে, যা এখন প্রকট । গত ১৯ মাসের লাগাতার হামলায় গাজার অসংখ্য পানীয় স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। বাধ্য হয়ে সমুদ্রের নোনতা-দূষিত পানি পান করছেন গাজার বেশিরভাগ বাসিন্দা।খবর আল-জাজিরা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গোটা গাজায় ৭১৯টি পানির কূপ ধ্বংস করেছে। এপ্রিলের শুরুতে গাজা সিটির ঘাবায়েন প্ল্যান্টে বোমা হামলা চালায়।এরপর ৫ এপ্রিল ইসরাইলি কোম্পানি মেকোরোট গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, যা উপত্যকার প্রায় ৭০ শতাংশ সুপেয় পানি সরবরাহ করত। ১০ মার্চ ইসরাইল গাজায় অবশিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দেয়। এতে গাজার পানি পরিশোধন ট্যাংকগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। হামাস সরকারের উপমন্ত্রীর উপ-মন্ত্রী জুহদ আল-আজিজ বলেন, সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত এবং জ্বালানি সংকটের কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ বেসরকারি এবং সরকারি পানি পরিশোধনকেন্দ্র (২৯৬টি) কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গাজা সিটি মিউনিসিপ্যালিটির মুখপাত্র আসেম আল-নাবীহ কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলেন, ইসরাইলি দখলদাররা কেবল গাজা সিটিতে ৬৪টিরও বেশি জলকূপ ধ্বংস করেছে। সে সঙ্গে ১১০,০০০-এরও বেশি মিটার পানি নেটওয়ার্কও ধ্বংস করেছে। বর্তমানে, মাত্র ৩০টি কূপ চালু আছে, এগুলো জনসংখ্যার চাহিদার একাংশও পূরণ করতে পারে না।
আল-নাবীহ অনুমান করেছেন, পানি সরবরাহ প্রতিদিন জনপ্রতি ৩-৫ লিটারে নেমে এসেছে। চরম ঘাটতির কারণে বাজারে পানির দামও এখন আকাশছোঁয়া। প্রতি গ্যালন ৫-৮ শেকেলে পৌঁছেছে। যা আগে ছিল ১.৩০- ২.২০।