• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোণার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:৪২ পিএম

নেত্রকোণার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোনার কুখ্যাত রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর নেতা খলিলুর রহমান খলিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন কুখ্যাত রাজাকার খলিলুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার একটি দল ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। তার ব্যাপারে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, ২২ জনকে হত্যা, এক নারীকে ধর্ষণসহ পাঁচটি অভিযোগ ছিল খলিলের বিরুদ্ধে। খলিল এ মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এ মামলায় খলিলসহ মোট আসামি ছিলেন পাঁচজন। বিচার শুরুর আগে একজন ও পরে তিন আসামি মারা যায়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার এই আলবদর বাহিনীর নেতাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২৫২ পৃষ্ঠার রায়ে খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও একটি অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি তিনি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

মামলার পাঁচ আসামি হলেন- রমজান আলী, মো. খলিলুর রহমান, খলিলুর রহমানের ভাই মো. আজিজুর রহমান, আশক আলী ও মো. শাহনেওয়াজ। তাদের মধ্যে রমজান আলী, আজিজুর রহমান, আশক আলী ও মো. শাহনেওয়াজ মারা গিয়েছেন।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণচেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগপত্রে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়।

খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

জেডআই/

আর্কাইভ