 
              প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০৫:৪৮ পিএম
-20230206054829.jpg) 
                 
                            
              একসময়ের অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি মাদকের আস্তানায় গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান। উচ্ছেদের মাধ্যমে অবৈধ দখলমুক্ত করা ১৯৪ একর জায়গায় দুবাইয়ের মিরাকেল গার্ডেনের আদলেই গড়ে তোলা হচ্ছে ফুলের এই সাম্রাজ্য। যেখানে স্থান পাবে উপমহাদেশের সুপরিচিত অন্তত ১২২ প্রজাতির ৩০ হাজারেরও বেশি ফুলের গাছ। থাকবে ফুলকেন্দ্রিক নানা স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাড়ি থেকে শ্রমিকরা নামিয়ে আনছেন ফুলের টব। আবার আরেক দল শ্রমিক সেই টবসহ ফুল সাজিয়ে রাখছেন ডিজাইন করা প্লটে। অনেকটা ব্যস্ত সময় কাটছে এসব ফুল শ্রমিকদের। আরেক অংশে আবার ছায়া ঘেরা শেড তৈরি করে রোপণ করা হয়েছে বিদেশি টিউলিপ ফুলের বীজ। এরই মধ্যে অনেক গাছ বড় হয়ে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন ফুলের রাজ্য গড়ে তোলার কাজ পরিদর্শনে, দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। প্রথম পর্যায়ে এখানে ৩০ হাজারের বেশি ফুল গাছের চারা রোপণে করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাড়বে ফুল গাছের পরিসর।
গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ফৌজদারহাটের ১৯৪ একর জায়গার পুরো এলাকা  অবৈধভাবে দখল করেছিল একটি চক্র। এখানে মাদকের আসরসহ অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ করে আসছিলেন স্থানীয়রা। শেষ পর্যন্ত গত মাসেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১৯৪ একর সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে জেলা প্রশাসন। এরপরই শুরু হয় দখলমুক্ত জায়গায় দেশের সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ফুল উৎসব এজন্যই করতে চাই, আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি, ক্রীড়া এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মেধা ও মননের বিকাশ ঘটাতে পারে।  
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই জায়গার পুরোটাজুড়েই থাকবে ফুলের বাগান এবং ফুলকেন্দ্রিক নানা স্থাপনা। সেই সঙ্গে পাশে থাকা জোড়াদীঘিতেও থাকবে নৌকার মতো বিনোদনের নানা উপকরণ। সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ফুলের এই রাজ্য।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার আশরাফুল আলম বলেন, এই ফুল উৎসবে দেশের এবং আমাদের দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে যত ধরনের ফুল পাওয়া যায় আমরা সব রাখার চেষ্টা করছি। এখানে শত শত প্রজাতির ফুল থাকবে ফুলপ্রেমীদের জন্য। পাশাপাশি এখানে সাম্পান থাকবে। এখানকার দিঘিতে কায়কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। নৌকাবাইচ হবে থাকবে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার ব্যবস্থা।  
                      
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      