
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টার পর থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারায় মঞ্চের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট-বড় মিছিল নিয়ে মঞ্চের আশপাশে যুক্ত হচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরাও আসছেন মিছিল নিয়ে। তাদের সবার কণ্ঠে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের স্লোগান। স্লোগানে উত্তাল ঢাকার রাজপথ। তাদের স্লোগান ছিল, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগকে ব্যান করো’এবং ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’।
এদিকে এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে নামাজ আদায় করছেন বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতা। নামাজ পড়িয়েছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ।
গতকাল রাত ১০টা থেকে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এতে ক্রমেই যোগ দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও।
এ কর্মসূচিতে এনসিপির পাশাপাশি যোগ দিয়েছে আপ বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ ছাত্র পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অংশ নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে স্লোগান দেন নাহিদ ইসলামও। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।’
এ কর্মসূচিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে ইন্টেরিমকে আর সময় দিতে রাজি নই, লাশ হয়ে ফিরব না হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, যে ইন্টেরিম আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে পারে না, সেই ইন্টেরিমকে গদি থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামাতে দুইবার ভাবব না। যে আসিফ নজরুল শহিদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করছে, সেই আসিফ নজরুলকে আমরা চাই না।