• ঢাকা শুক্রবার
    ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ও জাতীয় সনদ -- নির্বাচন পূর্ববর্তী বড় প্রভাবক

প্রকাশিত: মে ১৬, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম

রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য ও জাতীয় সনদ -- নির্বাচন পূর্ববর্তী বড় প্রভাবক

সিটি নিউজ ডেস্ক

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সবশেষ তিন জাতীয় নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) ভোটাধিকার বঞ্চিত ছিলেন ভোটাররা। তাই শেখ হাসিনার পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি বড় হয়ে উঠেছে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি।

বিএনপি ও জামায়াতসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও শোনা গেছে নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ চাওয়ার পাশাপাশি প্রস্তাবিত বিভিন্ন সময়ের আল্টিমেটাম।

এরইমধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারের ৯ মাস পেরিয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনে নির্বাচনের কথা বার বার বলেছেন সরকার প্রধান। কিন্তু এরপরও নির্বাচন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। শীর্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলই সংস্কারের নামে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অভিযোগ তুলেছে।

সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে জাতীয় সনদ। যদিও সাংবিধানিক কাউন্সিল, ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, ভোটের ভিত্তিতে আসনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এখনও মতানৈক্য রয়েছে।

এক্ষেত্রে দলগুলোর একমত হওয়ার ওপরই জাতীয় নির্বাচন নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন কমিশন সদস্য ড. মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কার কোনো কৌশলের অংশ না। বরং প্রধান উপদেষ্টা দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এক কমিশন আরেক কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি। আলাপ-আলোচনা যেমন চলেছে, তেমনি প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। আমরাও কোনো রকম হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, বল এখন রাজনৈতিক দলের কোর্টে। দলগুলোর ভেতর ঐক্য তৈরি হলেই আমাদের পক্ষ থেকে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা সহজ হবে। সেইসাথে নির্বাচনও তত দ্রুত অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, আশু সংস্কার বিদ্যমান তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান উপদেষ্টা তার ঘোষণাতেই কিছুটা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি জাতীয় নির্বাচন হবে। এর বাইরে অন্য কোনো নির্বাচনের কথা তিনি বলেননি।

বিশেষ সহকারী আরও জানান, প্রথম দফায় ঐকমত্য না হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বসবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ