
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্তব্ধ গোটা জাতি। মর্মান্তিক এ ঘটনা সারা দেশে শোকের মাতম সৃষ্টি করেছে। কোমলমতি শিশুদের এমন মৃত্যুর ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না দেশের মানুষ। এ দুর্ঘটনার পরই ঘণনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে শুরু করে সবার মুখে মুখে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে নৌ পরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরণের প্রশিক্ষণের যৌক্তিকতা নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বিমান প্রশিক্ষণ কোথায় হবে, তা পুনর্বিবেচনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
নৌ উপদেষ্টা বলেন , ‘এ দুর্ঘটনার পর স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান পরিচালনার বিষয়টি এখন আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে বিমান প্রশিক্ষণ সংস্থা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আরও গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে।’
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন দুর্ঘটনার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণ দুটি হলো—পাইলটের ভুল (পাইলট এরর) এবং কারিগরি ত্রুটি। যদিও এ ধরণের ট্রেনিং জেটগুলো অনেক পুরোনো। তবে আমার জানা মতে, এগুলোর অভ্যন্তরীণ যন্ত্রপাতি ও কম্পোনেন্ট আপডেট করা হয়ে থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাবে না, এটি কারিগরি ত্রুটি, নাকি পাইলটের ভুল। এর জন্য ব্ল্যাকবক্সের বিশ্লেষণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যে পাইলট বিমানটি চালাচ্ছিলেন, তিনি মারা গেছেন। এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক।’
হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকের শরীরে গুরুতর দগদগে ক্ষত রয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসার বিষয়ে নানা পরিকল্পনা করছেন। কিছু রোগীর চিকিৎসায় দীর্ঘ সময় লাগবে। সিঙ্গাপুর থেকে একটি মেডিকেল টিম ঢাকায় আসছে। তারা রোগীদের দেখবেন, প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।’