• ঢাকা শুক্রবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

আলোচনার মাধ্যমে আরপিও সংশোধন পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: ইসি সচিব

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

আলোচনার মাধ্যমে আরপিও সংশোধন পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে: ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আচরণবিধিমালার গেজেট প্রকাশের পর, আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসতে পারে নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ-আরপিও, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ও পরিবেশ নিয়ে দলগুলোর সাথে আলোচনা হবে, জানিয়েছেন সচিব আখতার আহমেদ। বলেন, রাজনৈতিক দল, সরকার, প্রশাসনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ও সময়োপযোগী হলে আরপিও সংশোধন পুনবিবেচনা করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

প্রায় সব নির্বাচন কমিশন ভোটের আগে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনের উদাহরন দেখিয়েছে। এবারও আরপিওর বেশ কিছু ধারায় পরিবর্তনের সুপারিশ করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সুপারিশ অনুযায়ী ‍‍`জোট হলেও নিজস্ব প্রতীকে ভোট এবং ভোট বন্ধ করার ক্ষমতাহ বেশ কিছু ধারায় পরিবর্তন আনে ইসি।

এরপরই জোটের প্রতীক, জামানত, নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে আপত্তি জানায় বিএনপিসহ কয়েকটি দল। তবে এসব মতবিরোধের মধ্যেই আরপিওর অধ্যাদেশ জারি করে সরকার।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ জানান, এতোদিন দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করলেও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনায় রেখেই আরপিও সংশোধন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু হতে পারে। আইন, বিধি, নির্বাচনী পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দলগুলোর পরামর্শ চাওয়া হবে।

আখতার আহমেদ বলেন, আমরা নিজের মতো করে আরপিও সংশোধন করেছি এটা আংশিক সত্যি। তবে কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা করেই এটা করা হয়েছে। আচরণবিধির গেজেট এখনো পাইনি। আগামী রোববারে মধ্যে সেটি পেলে একদিনের ব্যবধানে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।

ইসি সচিব আরও বলেন, পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপত্তি বা মতবিরোধ থাকা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার পর কমিশনের কাছে যুক্তিযুক্ত মনে হলে সেগুলো পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। তবে পরিবর্তন এককভাবে সম্ভব নয়। এর জন্য সরকার, দল ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন।

এ সময় ভিন্নমত সবসময় প্রতিযোগিতামূলক নয়, এটি অপরিপূরক হিসেবে কাজ করে বলেও মন্তব্য করেন আখতার আহমেদ।

আর্কাইভ