 
              প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩, ০৯:১১ পিএম
-20230407091125.jpg) 
                 
                            
              ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারে বিএনপি জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হবে’— আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাল্টা জবাবে তিনি দাবি করেছেন, বিএনপি নয় বরং বঙ্গবাজারে মার্কেটে ‘অগ্নিসংযোগ’র ঘটনায় আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক জড়িত।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ১২ দলীয় জোট ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত ও নিরপেক্ষ তদন্ত হয় এটি বেরিয়ে আসার তাহলে সম্ভাবনা আছে। এটা সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে। আওয়ামী লীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোক বঙ্গবাজারকে দখল করার জন্য চেষ্টা ও কাজ করছিলেন। ফলে প্রকৃত তদন্তে হলে বেরিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটি হয়েছে কারচুপির, যা গ্রহণযোগ্য হয়নি। অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন হয়নি। এগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নির্বাচনের মান অনুযায়ী হয়নি। স্বাভাবিকভাবে জাতিসংঘ এটাতে চিন্তিত। বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র ছিল সেটা এখান থেকে যে চলে গেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা ফিরে আসার যে সম্ভবনা আছে, আওয়ামী লীগের অধীনে পুরনো কায়দায় নির্বাচন হলে সেটিও থাকবে না। সেজন্য জাতিসংঘ বলেছে, সবার অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত, যা আগে হয়নি। সে কারণে জাতিসংঘ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি সরকারের যে লক্ষ্য, তারা আবার আগের কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাবে। তারা সেভাবেই পরিকল্পনা করেছে। স্বাভাবিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেটা বলেছেন, তাতে আমরা অবাক হয়নি। তিনি বলেছেন, এখানে কাউকে দরকার নেই, আমরা নিজেরাই যথেষ্ট।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল নির্বাচন কমিশনও বলেছে, সবাই নির্বাচনে অংশ না নিলে সেটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। সুতরাং বাস্তবতা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে ও আমরা যারা বিরোধী জোট আছি তারা অংশ না নিলে নির্বাচনের বৈধতা থাকবে না। আমরা মনে করি সরকার আগের কায়দায় একতরফা নির্বাচন করতে চায়। সে কারণে তারা জাতিসংঘের এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
রমজানের কারণে আন্দোলনের ধরন কিছুটা পরিবর্তন হলেও কর্মসূচি অব্যাহত আছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের শরীকরা যার-যার অবস্থান থেকে কর্মসূচি পালন করছে। এ অবস্থায় আগামী দিনে আমাদের করণীয় কী তা নিয়ে ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বসেছি।’
                      
বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ১২ দলীয় জোটের নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, শাহাদাত হোসেন সেলিম, সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।
এডিএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      