• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মুশফিকের পক্ষে ব্যাট ধরলেন মাশরাফি

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১, ০৪:৩৫ পিএম

মুশফিকের পক্ষে ব্যাট ধরলেন মাশরাফি

ক্রীড়া ডেস্ক

কোয়ারেন্টিন শর্তের ফাঁদে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি দেশের এক নম্বর উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। আর পারিবারিক কারণে খেলতে পারেননি লিটন দাস। সেই সুযোগে অজিদের বিপক্ষে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলে রয়েছেন তারা তিনজনই। এমন  পরিস্থিতিতে কে কিপিংয়ের দায়িত্ব সামলাবেন তা নিয়ে শুরু হয় মধুর সমস্যা।

তবে সোমবার (৩০ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানান, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে শুরুর দুই ম্যাচ কিপিং করবেন সোহান, পরের দুই ম্যাচে গ্লাভস উঠবে অভিজ্ঞ মুশফিকের হাতে। এই চার ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় পঞ্চম শেষ ম্যাচের উইকেটরক্ষক নির্বাচন করবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

কোচের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। মুশফিকের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অফিসিয়াল পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই ক্রিকেটার। তুলে ধরেছেন বিভিন্ন বিষয়।

মাশরাফি লিখেছেন, ‘সোহান সম্ভবত দলের সেরা কিপার। সঙ্গে লিটন। এক সিরিজ গ্যাপে যোগ হলো মুশফিক। এক দলে এত কিপার তো আনন্দের, তা না হয়ে বের হয় বিষাদ। এতটুকু সামাল দিতে না পারলে তো সমস্যা। যা একপর্যায়ে দলের ভেতর অদৃশ্য এক বাজে প্রতিযোগিতা চলে আসবে। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত তারা তাদের মতো করে নেবে, এটাই তো স্বাভাবিক এবং অবশ্যই ভালোর জন্য নেবে।

সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি, ‘১৬ বছর যে মানুষটা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দিচ্ছে তাকে নিয়ে মন্তব্য করার আগে আপনি যত বড় ক্ষমতাধর মানুষ হোন না কেন, একটু জায়গা বুঝে বলা উচিত। মুশফিক কিভাবে জাতীয় দলে এসেছে তা সবাই জানে সিম্পলি তার ব্যাটিং দক্ষতা।

টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত বাইরে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাশরাফি। জানান, কে খেলবে, কোন পজিশনে খেলবে, কার রোল কি এগুলো তো দলের একান্ত পরিকল্পনা যা ড্রেসিংরুমে শুরু আবার ড্রেসিংরুমেই শেষ হয়। বাইরে বলতে গেলে তো খেলোয়াড়ের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা তার স্বাভাবিকতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের ভূয়সী প্রশংসা করেন মাশরাফি।

সাবেক অধিনায়কের ব্যাখ্যা, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের দুজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটারকে সেটা আবার নিজ দলের খেলোয়াড়কে, আপনি যুদ্ধ করে বাঁচতে বলবেন সেটা ড্রেসিংরুম পর্যন্ত থাকাই ভালো। অবশ্যই দলের স্বার্থ সবার আগে। দলের আগে কোনো খেলোয়াড় হতে পারে না। কিন্তু যে ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলতে নামে তারা কোনো সহানুভূতি নিয়ে নয়, বরং তার শরীরের সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দলে জায়গা পায়। আর মুশফিকের সে গল্প আমরা সবাই জানি, তার নিবেদন কী পর্যায়ে। বাংলাদেশের হাজার হাজার উঠতি ক্রিকেটারদের আইডল সে।

সঙ্গে যোগ করেন মাশরাফি- ‘কে খেলবে, কোন পজিশনে খেলবে, কার রোল কী এগুলো তো দলের একান্ত পরিকল্পনা, যা ড্রেসিংরুমে শুরু আবার ড্রেসিংরুমেই শেষ হয়। বাইরে বলতে গেলে তো খেলোয়াড়ের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় যা তার স্বাভাবিকতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমি শুধু ভাবছি এতে কি সোহানের জন্যও খুব ভালো হলো যে ছেলেটা দুই ম্যাচে সব দেখিয়ে টিকে থাকতে হবে, তাহলে বিগত দুই সিরিজ সে যা করল তার কী হবে? আর লিটন কী বলবে? এখন তো কিপিং ভুলেই যাবে। আর মুশফিককে পারফর্ম করতে হবে ১৬ বছর খেলার পর! এটা বলে দেয়ার কিছু নাই, সে খুব ভালো করেই জানে বরং বাইরে এভাবে বললে তার নিবেদনকে অসম্মানিত করা হয়। যা তার প্রাপ্য না।

জেডআই/এম. জামান

আর্কাইভ